You have reached your daily news limit

Please log in to continue


জাকসু নির্বাচন কী বার্তা দিলো?

বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচনও সম্ভবত এত নাটকীয়তা আর দীর্ঘসূত্রতার উদাহরণ তৈরি করেনি—যা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ-জাকসু নির্বাচনে। মাত্র ৮ হাজার ভোটারের ব্যালট পেপার গণনা করে ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল দিতে সময় লেগেছে দুদিনের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে রসিকতা করে লিখেছেন, কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে জমা হওয়া কোটি কোটি টাকা দ্রুততম সময়ে গণনা করেন মাদ্রাসার যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, তাদের দায়িত্ব দিলেও জাকসু ভোটের ফলাফল এর আগে পাওয়া যেতো!

মানুষের এই রসিকতার ভেতরে আছে রাগ, ক্ষোভ এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অদক্ষতার প্রতি অসন্তুষ্টি। ৩৩ বছর পরে যে শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন হলো, যে নির্বাচন নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী তো বটেই, দেশের সাধারণ মানুষেরও আগ্রহ ছিল –সেটিও বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকল না।

অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগের পতনের পরে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই মানুষের মনে অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ-গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোয় সেই প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ হয়—সেটিও মানুষ দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু বলাই বাহুল্য, জাকসু এবং এর ঠিক আগে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচনও বিতর্কমুক্ত থাকেনি। অর্থাৎ দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা নিয়ে যেসব প্রশ্ন ও বিতর্ক অতীতে উঠেছে, সেই ঘেরাটোপ থেকে দেশের প্রাচীন দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ই যেখানে বের হতে পারেনি, সেখানে আগামী ফেব্রুয়ারিতে একদিনে তিনশো আসনে নির্বাচনে কী ঘটবে—তা হয়তো কিছুটা অনুমান করা যাচ্ছে।

ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের মধ্যে কয়েকটা মিল-অমিল রয়েছে।

১. ডাকসু নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলেও এখানে নির্বাচনি ব্যবস্থা ও ভোট গণনা নিয়ে যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, সেগুলো খুব সুস্পষ্ট ও ব্যাপক নয়। কিন্তু জাকসু নির্বাচনে উত্থাপিত অভিযাগগুলো সুস্পষ্ট, ব্যাপক ও গুরুতর। যে অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দুজন সদস্য (অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার এবং অধ্যাপক স্নিগ্ধা রিজওয়ানা) এবং নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা তিনজন শিক্ষক (অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা ও অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান।) পদত্যাগ করেছেন, ভোট বর্জন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং এখানে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি করেছে, ভোটে কোনো অনিয়ম হয়নি। বরং ডাকসুতে পরাজিত প্রার্থী ও প্যানেলের পক্ষ থেকে উত্থাপিত মূল অভিযোগ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘শিবির তোষণ’।

২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির সমর্থিত প্রার্থীরা পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হয়েছেন মূলত তাদের রাজনৈতিক কৌশল এবং বিএনপির অতি আত্মবিশ্বাস, গত এক বছরে তাদের সম্পর্কে নানাবিধ নেতিবাচক খবর, শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিবিরের আধিপত্যসহ নানা কারণে। জাকসুতেও শিবির প্যানেলের আধিপত্য। এখানে ভিপি ছাড়া অধিকাংশ পদই তাদের দখলে। ভিপি হয়েছেন স্বতন্ত্র প্যানেলের আব্দুর রশিদ জিতু। তার জয়ে মূল ভূমিকা রেখেছে তার ব্যক্তিগত ইমেজ। অর্থাৎ ভিপি পদে অন্য প্রার্থীরা জিতুর ইমেজকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। জুলাই আন্দোলনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে জিতুসহ একযোগে ১৮ জন সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়ক পদত্যাগ করেন। ওই সময় জিতুর নেতৃত্বে পদত্যাগকারী কয়েকজন মিলে ‘গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। ওই সংগঠনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, পোষ্য কোটা বাতিলসহ বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন জিতু। গণ-অভ্যুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নেতিবাচক ভূমিকায় দেখা গেলেও ক্যাম্পাসে জিতু তার ইতিবাচক ভাবমূর্তি ধরে রেখেছিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন