গতির প্রতীক বিমান যখন জীবনের যতি টেনে দেয়...

www.ajkerpatrika.com বিভুরঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২৫, ১৭:৩৬

প্রতিদিন সূর্য ওঠে, শিশুরা ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যায়। ব্যাগে বই-খাতার ফাঁকে ছোট ছোট স্বপ্ন থাকে—কেউ হবে বৈজ্ঞানিক, কেউ বলে ‘আমি পাইলট হব’, কারও চোখে ফুটবলার হওয়ার ইচ্ছা। কেউ কারও প্রিয় বন্ধু, কেউ ভাইয়ের মতো, কেউ স্কুলে প্রথম হয়ে মা-বাবার গর্ব হবে বলে শপথ করে। কিন্তু আজ...সব ভুলে গিয়ে শুধু একটাই প্রশ্ন আমাদের হৃদয় ঝাঁজরা করে দিচ্ছে, কেন এমন হলো? নিষ্পাপ শিশুদের পুড়িয়ে দিল কোন পাপ? কার পাপ?


২১ জুলাই দুপুরটা যে এমন ভয়াবহ হবে, সেটা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী-শিক্ষক কেউই কল্পনাও করেননি। আকাশে বিমান উড়লেও ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কারও চোখ কৌতূহলী হয়ে ওঠে না। কারণ বিমানবন্দরের কাছে হওয়ায় অনেক বিমান ওঠানামা নিয়মিত দেখে অভ্যস্ত হওয়ায় কৌতূহল নিবৃত্ত হয়েছে। কিন্তু ২১ জুলাই বেলা ১টার পর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছেলেমেয়েরা, যারা ক্লাসরুমের বাইরে ছিল, তাদের কেউ কেউ দেখতে পায় আকাশ থেকে আগুন নেমে আসছে। জুলাইয়ের শেষ দিকের সোমবারের দুপুরটা ছিল একেবারেই সাধারণ। কারও ক্লাস শেষ হওয়ায় বাড়ি যাওয়ার অপেক্ষায়, কেউ বন্ধু-সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলছে, কারও কারও আবার ক্লাসও চলছিল। বিমানের শব্দে সচরাচর যাদের চোখ আকাশের দিকে ওঠে না, তারাই হকচকিয়ে গেল একটি বিমানের গর্জে ওঠার শব্দে। আকাশে উড়ে যাওয়ার কথা যে বিমানের, সেই বিমান মুহূর্তেই তার গতিপথ বদলে গোত্তা খেয়ে পড়ল মাইলস্টোনের প্রাঙ্গণে। এরপর একটা বিকট শব্দ, বিস্ফোরণ, আগুন। ছোটাছুটি। হাহাকার। আর্তনাদ। কান্না। শেষ হয়ে গেল কয়েকটি জীবন, চিরবিচ্ছেদ ঘটে গেল মা-বাবা আর সন্তানের, শিক্ষক আর তাঁর ছাত্রের মাঝে। আহত ও দগ্ধদের আর্তনাদে রাজধানীর বাতাস ভারী। রাজধানীর এক আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিণত হলো শোকস্তব্ধ শ্মশানে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও