তাজউদ্দীন আহমদ: রোজনামচার মানুষটিকে বোঝা
আমার ঠিক মনে নেই, কে আমাকে বইটি দিয়েছিলেন। হয়তো কোনো বন্ধু বা কোনো সহকর্মী কিংবা আমার কোনো শিক্ষার্থী। কিন্তু বইটির শিরোনাম দেখেই আমি চঞ্চল হয়ে উঠেছিলাম। বইটি বাংলাদেশের অন্যতম রূপকার এবং দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমদের ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত লিখিত রোজনামচার ওপর ভিত্তি করে একটি অখণ্ড পুস্তক। সুতরাং বইটি আমি সাগ্রহ নিলাম।
বইটি পড়তে শুরু করে এর বিষয়বস্তুর বাইরে পাঁচটি বিষয় আমার মনোযোগ কাড়ল। এক, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে জনাব তাজউদ্দীন আহমদ প্রতিদিনই তাঁর দিনপঞ্জিতে কিছু না কিছু লিখেছেন। এ সময়কালের মধ্যে দিনপঞ্জির কোনো পাতাই ফাঁকা যায়নি। তাঁর এই লেগে থাকার অধ্যবসায় ঈর্ষণীয় পর্যায়ের।
দুই, রোজনামচাগুলো তাজউদ্দীনের শৃঙ্খলামান্য মনের পরিচায়ক। তিনি তাঁর মনকে এমনভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ করেছিলেন যে প্রতিটি দিনের ঘটনা, তা যত সামান্যই হোক না কেন, তিনি তা রোজনামচায় লিপিবদ্ধ করেছেন।
- ট্যাগ:
- মতামত
- তাজউদ্দীন আহমদ