সরকারের ব্যর্থতা ও সমন্বয়হীনতার বড় দৃষ্টান্ত

প্রথম আলো সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২৫, ১০:০৫

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল ভবনে বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। এটি আমাদের জাতীয় জীবনের বড় একটি ট্র্যাজেডির দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। একসঙ্গে এত শিশুর (এ পর্যন্ত মৃত ৩২ জনের অধিকাংশই শিশু) মৃত্যু বাংলাদেশ খুব বেশি দেখেনি। এই ক্ষত অমোচনীয়, এই ক্ষতি অপূরণীয়। গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয়ভাবেও পালিত হয়েছে শোক। কিন্তু বিমান দুর্ঘটনা–পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেওয়া এবং ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সরকার সমন্বয়হীনতা ও ব্যর্থতার যে নজির স্থাপন করেছে, সেটা এককথায় অগ্রহণযোগ্য।


মাইলস্টোন স্কুল ট্র্যাজেডিতে পুরো দেশ শোকে স্তব্ধ। শুরুতে সম্মিলিত যে উদ্ধার প্রচেষ্টা ও আহতদের রক্ত দিতে মানুষের স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার দৃষ্টান্ত আমাদের সমাজে বহুদিন প্রেরণা হয়ে থাকবে। কিন্তু বড় কোনো দুর্ঘটনা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের জাতীয় সক্ষমতা ও ব্যবস্থাপনা যে কতটা ভঙ্গুর, সেটা আরেকবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বিমান দুর্ঘটনাটি। ঘটনার গুরুত্ব যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে না পেরে উপদেষ্টাদের কেউ কেউ সিদ্ধান্ত নিতে গড়িমসি করায় পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়েছে।


দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দৃশ্যমান কোনো ভূমিকা প্রথম দিন দেখা যায়নি, যা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। চলমান উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নিতে মাঝরাত গড়িয়ে যাওয়ায় শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষাসচিবের বিরুদ্ধে যে ক্ষোভের জন্ম হয়, তা বিক্ষোভ পর্যন্ত গড়ায়। সচিবালয়ে বিক্ষোভের জেরে শিক্ষাসচিবকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে অর্থ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে পোস্ট দিয়ে সেটা সরিয়ে নেওয়া হয়। এটা একটা খারাপ নজির হিসেবে থেকে যাবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও