আউশ ও আমন মৌসুমে কৃষকের বিকল্প কী?

ঢাকা পোষ্ট সমীরণ বিশ্বাস প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২৫, ১২:৪১

বাংলাদেশে ধান উৎপাদনের তিনটি প্রধান মৌসুম রয়েছে—বোরো, আউশ ও আমন। প্রতিটি মৌসুমে ধানের চাষ ও কাটার নির্দিষ্ট সময়সীমা বা টাইমলাইন আছে। প্রতিটি ধানের মৌসুমের সময়কাল (Timeline) হলো—বোরো ধান মৌসুম: বপন/রোপণ সময়: নভেম্বর – জানুয়ারি। ফসল কাটা সময়: এপ্রিল – জুন। শুকনো মৌসুমে সেচ নির্ভর ধান। সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত ধান এই মৌসুমে হয়।


আউশ ধান মৌসুম: বপন/রোপণ সময়: মার্চ – মে। ফসল কাটার সময়: জুলাই – আগস্ট। বর্ষার শুরুতে চাষ হয়, তুলনামূলক কম উৎপাদনশীল।


আমন ধান মৌসুম: বপন/রোপণ সময়: জুন – আগস্ট। ফসল কাটার সময়: অক্টোবর – ডিসেম্বর। বৃষ্টি নির্ভর প্রধান মৌসুম। প্রাকৃতিক পানিতে চাষ হয়।


বাংলাদেশে তিনটি প্রধান ধান উৎপাদনের মৌসুম বোরো, আউশ এবং আমন। এ তিন মৌসুম মিলেই দেশের মোট ধান উৎপাদনের শতভাগের প্রায় পুরোটাই কভার করে। মৌসুমভিত্তিক ধান উৎপাদনের প্রায় গড় কভারেজ (শতকরা অংশ) হলো—বোরো ধান উৎপাদনের অংশ প্রায় ৫৫–৬০ শতাংশ। আমন ধান উৎপাদনের অংশ প্রায় ৩৫–৩৮ শতাংশ। আউশ ধান উৎপাদনের অংশ প্রায় ৭–১০ শতাংশ।


বিকল্প কী?


বর্তমানে আউশ ধান রোপণের শেষ সময় এবং আমন ধানের বীজতলা প্রস্তুতির উপযুক্ত সময়। এই সময় কৃষকরা ধান চাষের পাশাপাশি অন্যান্য কৃষি উৎপাদনেও গুরুত্ব দিয়ে আয় বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন।



প্রথমত, সবজি চাষ—এই মৌসুমে পুঁইশাক, ধনে পাতা, লাল শাক, ডাটা শাক, লাউ, করলা, পটল, ঢেঁড়স ইত্যাদি চাষের উপযুক্ত সময়। ধানের সাথে আংশিক জমি এসব চাষে ব্যবহার করলে অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ তৈরি হয়। 


দ্বিতীয়ত, মাছচাষ—বর্ষাকালীন জলাধার, পুকুর বা বৃষ্টির পানি জমা হওয়া জায়গাগুলোয় দেশি প্রজাতির মাছ যেমন ট্যাংরা, শিং, মাগুর ছাড়াও রুই, কাতলা ও তেলাপিয়া মাছ চাষ শুরু করা যেতে পারে। ধানের জমিতে ধান-মাছ সমন্বিত চাষও একটি লাভজনক ব্যবস্থা।


তৃতীয়ত, জৈবসার ও কম খরচে টেকসই চাষ—আউশ ও আমন ধানে ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি সারের সুষম প্রয়োগের পাশাপাশি জৈব সার ব্যবহার করে জমির উর্বরতা ধরে রাখা উচিত। জলাবদ্ধতা রোধে নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।


চতুর্থত, রোগবালাই ও পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ—পাতা পোড়া, ব্লাস্ট বা পাতা মোড়ানো পোকা দেখা দিলে অনুমোদিত জৈব-কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।


পঞ্চমত, খামার ব্যবস্থাপনা ও প্রশিক্ষণ—স্থানীয় কৃষি অফিস বা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে প্রযুক্তি ভিত্তিক চাষাবাদ করলে উৎপাদন বৃদ্ধি ও ঝুঁকি হ্রাস সম্ভব। সবশেষে, এই সময়ের কার্যকর পরিকল্পনা ও বহুমুখী কৃষি উৎপাদন কৃষকের আয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও