You have reached your daily news limit

Please log in to continue


মশা কেন কিছু মানুষকে বেশি কামড়ায়?

আপনি কি কখনো লক্ষ্য করেছেন যে একই পরিবেশে থাকা সত্ত্বেও মশারা শুধুমাত্র আপনাকেই বেশি কামড়ায়? এটি কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে মশাদের কিছু মানুষের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ কাজ করে। আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা থেকে শুরু করে শরীরের গঠন পর্যন্ত নানা কারণ এখানে ভূমিকা রাখে।

রক্তের গ্রুপ, মশাদের প্রিয় বিষয়

বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, মশারা রক্তের গ্রুপভেদে ভিন্ন পছন্দ প্রদর্শন করে, বিশেষ করে 'O' গ্রুপের রক্তধারীদের তারা প্রায় ৮৩ শতাংশ বেশি কামড়ায়, যেখানে 'A' গ্রুপের তুলনায় 'B' ও 'AB' গ্রুপ মধ্যম অবস্থানে রয়েছে। প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ যারা "সিক্রেটর" (ত্বক, লালা বা ঘামের মাধ্যমে রক্তের গ্রুপের সংকেত প্রদানকারী) এবং বিশেষ করে 'O' গ্রুপের সিক্রেটর হলে তাদের মশার কামড়ের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়, আবার প্রজাতিভেদে এই পছন্দের তারতম্য দেখা যায় যেমন এশিয়ান টাইগার মশা (Aedes albopictus) 'O' গ্রুপকে অগ্রাধিকার দেয় অন্যদিকে অ্যানোফিলিস গাম্বিয়াই (Anopheles gambiae) 'AB' গ্রুপের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। কোন প্রজাতির মশা মানুষের রক্ত খেতে পছন্দ করে আবার কিছু কিছু প্রজাতির মশা প্রাণী রক্ত খেতে পছন্দ করেন। প্রজাতি ভেদে মশার রক্ত খাওয়ার পছন্দ ভিন্ন হয়ে থাকে। 

শ্বাস-প্রশ্বাস অদৃশ্য আকর্ষণ

মশারা মানুষের নিঃশ্বাসে থাকা কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂) গ্যাসকে ৫০ মিটার দূর থেকেই শনাক্ত করতে পারে। আপনি যত বেশি শ্বাস নেবেন, মশাদের কাছে তত বেশি দৃশ্যমান হবেন। আপনি দেখবেন আপনি যখন কোথাও বসেছেন তখন মশা ছিল না কিন্তু আপনি বসার কয়েক মিনিট পরেই সেখানে মশা এসে উপস্থিত। এর কারণ হলো আপনি যখন কোথাও বসছেন তখন সেখান থেকে আপনি নিয়মিত কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করছেন আর তার আকর্ষণেই ছুটে আসছে মশা। 

কে বেশি ঝুঁকিতে?

গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মানুষ মশার কামড়ের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। প্রথমত, শারীরিকভাবে সক্রিয় ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন, কারণ ব্যায়াম বা পরিশ্রমের সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়, ফলে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। দ্বিতীয়ত, গর্ভবতী নারীরা সাধারণ মানুষের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করেন, যা মশাদের আকর্ষণের একটি বড় কারণ। 

তৃতীয়ত, শিশু ও বড় আকারের ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন, কারণ তাদের বিপাকীয় হার বেশি হওয়ায় বেশি পরিমাণে CO₂ উৎপন্ন হয়। শিশুরা সাধারণত বেশি ছোটাছুটি করে, ফলে তাদের দেহ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড বেশি নিঃসৃত হয়। একইভাবে, বড় দেহের অধিকারী ব্যক্তিদের বিপাকীয় হার বেশি হওয়ায় তাদের দিকেও মশা বেশি আকৃষ্ট হয়।

মশারা প্রায়ই আমাদের মুখমণ্ডলের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে, কারণ নাক ও মুখের কাছে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি থাকে। এটি মশাদের জন্য একটি শক্তিশালী সংকেত হিসেবে কাজ করে, যা তাদের শিকার খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

দেহের তাপ ও ঘাম প্রাকৃতিক আকর্ষণ

মশারা বিশেষ করে স্ত্রী মশারা তাপ অনুভব করতে সক্ষম। আপনার শরীর যত বেশি উষ্ণ হবে, তারা তত সহজে আপনাকে খুঁজে পাবে।  শারীরিক ব্যায়াম বা কঠোর পরিশ্রমের সময়, গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় শরীর বেশি তাপ উৎপন্ন করে তাই এই সময়ে মশা বেশি আকৃষ্ট হয়। গর্ভবতী নারীদের দেহের তাপমাত্রা সাধারণত ০.৭°C বেশি থাকে তাই এ সময়ে তাদের দিকে মশা বেশি যায়। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন