You have reached your daily news limit

Please log in to continue


রাজনীতি কোনো ব্যবসা না

গত কয়েক দশকের রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের আচার-আচরণ মোটের ওপর বিশ্লেষণ করলে মোটা দাগে বলা যায়, গত শতাব্দীর রাজনীতিবিদদের চেয়ে তাঁরা আলাদা বৈশিষ্ট্যের। রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের এই পরিবর্তনের কারণগুলো বিশ্লেষণ করা দরকার।

রাজনীতিবিদেরাই রাজনীতি করবেন। রাজনীতিবিদদের মনে রাখতে হবে, রাজনীতি কোনো ব্যবসা না। বলতে পারেন রাজনীতি সমাজসেবা, জনসেবা অথবা রাষ্ট্রসেবাও বটে। লোভ-লালসা, নিজের স্বার্থ, পরিবারের স্বার্থ—সবকিছু বিসর্জন দিয়েই রাজনীতিবিদদের উচিত রাজনীতি করা। রাজনীতির ব্যাকরণও তা-ই বলে। গত শতাব্দী ও তার আগে থেকে, রাজনীতিবিদদের চরিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নিঃস্বার্থভাবে সমাজ বা রাষ্ট্রকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁদের চিন্তা-চেতনায়, মনোজগতে কাজ করত দেশসেবা, জনসেবা অথবা সমাজসেবা। শত বছরের ঐতিহ্য বিশ্লেষণ করলে আমাদের দেশের, আমি বলতে চাইছি এই উপমহাদেশের বহু রাজনীতিবিদ আছেন ডাকসাইটে, তাঁদের মেধা-প্রজ্ঞা-জ্ঞান-গরিমা ছিল প্রশ্নাতীত। এইসব রাজনীতিবিদ সম্পর্কে বহু গবেষণা হয়েছে, যুগ যুগ ধরে গবেষণা চলছে তাঁদের কৃতকর্ম নিয়ে, তাঁদের আদর্শ নিয়ে। তাঁদের আদর্শ, কৃতকর্ম বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে তাঁদের নিঃস্বার্থ ত্যাগ, জাতি ও দেশকে ভালোবাসার গল্প।

মহাত্মা গান্ধী, কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকসহ এই উপমহাদেশের রাজনীতিবিদদের সবকিছু বিশ্লেষণ করলে তাঁদের সম্পর্কে যে ব্যাখ্যা দাঁড়াবে, সেটা হলো তাঁদের কৃতকর্মের চিন্তা-চেতনার ফসল বর্তমান সমাজ, রাষ্ট্রব্যবস্থা ও আমাদের স্বাধীন দেশমাতৃকা। যাঁদের নাম বললাম তাঁরা যে খুব একটা অর্থসম্পদ রেখে গেছেন, তা কিন্তু বলা যাবে না। মহাত্মা গান্ধী বা জিন্নাহর ক্ষেত্রে এর তেমন কোনো প্রমাণ নেই। আমরা দেখেছি, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক এত বড় আইনজীবী ছিলেন, বাংলার প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীসহ বিভিন্ন পদে ৫০ বছর অধিষ্ঠিত ছিলেন; মৃত্যুর পরে তাঁর সম্পদের মধ্যে ছিল সেই সময়ের গোপীবাগের জরাজীর্ণ দোতলা বাড়ি।

বিগত শতকের রাজনীতিবিদদের পোশাক-আশাক, চলন-বলন, ভ্রমণ, খাদ্য গ্রহণ—সবকিছুই ছিল অনুকরণীয়। তাঁরা সব মানুষকে সম্মান করে কথা বলতেন, অন্য দলের রাজনীতিবিদদেরও তাঁরা সম্মান করতেন। দ্বিমতের কারণে কোনো দিনই কারও ওপর চড়াও হতেন না। ভিন্নমতের ভিন্ন দলের লোকজনের সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন। সেই উদাহরণ আমরা শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যেও দেখেছি।

মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, কমরেড মণি সিংহ, প্রফেসর মোজাফফর আহমদ, জিয়াউর রহমান—এইসব মহান রাজনীতিবিদদের কিছু কর্ম বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যাবে তাঁদের ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা; চিন্তা-চেতনায়, মননে সব সময় ছিল দেশমাতৃকার কথা; সমাজের উন্নতি, সমাজকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন। নিজের সম্পত্তি কত আছে, কত ছিল আর কত সম্পত্তি করতে হবে, এসবের কোনো ভাবনা ছিল না তাঁদের। একেবারেই সাদামাটা জীবন ছিল এইসব জ্ঞানীগুণী ব্যক্তির। দল-মতনির্বিশেষে উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গকে আমরা শ্রদ্ধা করি আজীবন। মনে হয়, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও তাঁদের ইতিহাস জেনে শ্রদ্ধায় মস্তক অবনত করে।

আমাদের দেশে জাতীয় পর্যায়, এমনকি জেলা পর্যায়েও বহু রাজনীতিবিদ ছিলেন—দুই-তিন দশক আগেও—যাঁদের চরিত্র বিশ্লেষণ করলে একই রকম ফলাফল পাওয়া যাবে। তাঁরা কোনো সম্পদ অর্জনের জন্য, নিজের ব্যক্তিগত লোভ-লালসার জন্য, পরিবারের সুখ-সমৃদ্ধির জন্য রাজনীতি করেননি। এখনো সে রকম রাজনীতিবিদ জাতীয় পর্যায়ে এবং মফস্বল পর্যায়ে আছে, তবে তাঁদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে বলেই আজকের এই লেখার অবতারণা।

দুই-তিন দশক ধরে প্রায়ই শোনা যায়, কোন দল থেকে আপনি নমিনেশন পাবেন, সেই দল থেকে আপনাকে নমিনেশনটি কিনে আনতে হবে। বাস্তবে এটা কতটা সত্য জানি না, তবে বেশির ভাগ মানুষই মনে করে, নমিনেশন বেচাকেনার ব্যাপার, যিনি অধিক দাম দেবেন তাঁর কপালেই জুটবে নির্দিষ্ট দলের প্রতীক! সব ক্ষেত্রে না হলেও উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রে এটা হচ্ছে বলে অনেকেই বিশ্বাস করেন। আবার যাঁরা এইসব প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হন, তাঁরা নাকি বলেন, এই পদে তাঁর পূর্বসূরি কী পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছে, তাঁকে তার চেয়ে একটু বেশি সম্পদ অর্জন করতে হবে!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন