রিপোর্ট প্রত্যাশা দায়

দেশ রূপান্তর রাজেকুজ্জামান রতন প্রকাশিত: ০৩ মে ২০২৫, ১৮:১৭

গণঅভ্যুত্থান যেমন গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল, তেমনি প্রত্যেকের জীবনের সমস্যা সমাধানের আকাক্সক্ষাও জাগিয়ে তুলেছিল। অভ্যুত্থানকে সফল করে তুলেছিল, শ্রমজীবীদের বিপুল অংশগ্রহণ ও জীবনদান। ফলে তাদের সমস্যা অনুসন্ধান ও সমাধানের পথ বের করতে গঠন করা হয়েছিল শ্রম সংস্কার কমিশন। এই কমিশনের ৪৬০ পৃষ্ঠার সুপারিশগুলো যেন সরকারের কাছে নীতি, নিয়োগকারীদের কাছে বাধ্যবাধকতা এবং শ্রমিকদের জন্য দরকষাকষির দলিল হিসেবে বিবেচিত হয় সেই প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর সংক্ষিপ্ত রূপ থেকেই মূল রিপোর্টের চিত্রটা অনুমান করা যাবে। যেমন ১. শ্রম কমিশন সব শ্রমিকের আইনি সুরক্ষা ও স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে: দেশের ৭ কোটি ৪০ লাখ শ্রমশক্তি যারা প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক, কৃষি, গৃহভিত্তিক, স্বনিয়োজিত ইত্যাদি বিভিন্নভাবে শ্রম দিচ্ছে তাদের জন্য রাষ্ট্র শ্রম আইনের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।


সেই লক্ষ্যে নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র, নিরবচ্ছিন্ন কাজ এবং আয়ের নিশ্চয়তা, মর্যাদাপূর্ণ ও শোভন কর্মপরিবেশ, চাকরির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, অস্থায়ী ও এজেন্সি নির্ভর নিয়োগের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। শ্রমিকের নিজের ও পরিবারের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন উপযোগী ন্যায্য মজুরি (লিভিং ওয়েজ), উন্নয়নে ন্যায্য অংশীদারত্ব ও হিস্যা প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেকের জন্য নিরাপদ কাজ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ, দুর্ঘটনায় যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং নিজের ও পরিবারের সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার থাকতে হবে। প্রত্যেকেরই অবসর, অক্ষমতা, অসুস্থতা, মাতৃত্বকালীন সময় বা যেকোনো প্রতিকূল অবস্থায় সামাজিক নিরাপত্তা স্কিমে অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রত্যেকের অধিকার সুরক্ষা ও ন্যায্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য সংগঠিত হওয়া, সমষ্টিগতভাবে প্রতিনিধিত্ব করা ও অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ জানানো, প্রতিকার ও ন্যায়বিচার পাওয়ার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। এই অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে সরকার দেশের সংবিধান, আইএলও কনভেনশন ও কর্মক্ষেত্রে মৌলিক নীতিমালা ও অধিকার সংক্রান্ত ঘোষণা, শোভন কাজের মানদ- এবং মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতার আলোকে, যথাযথ ত্রিপক্ষীয় পদ্ধতে অনুসরণ করে বর্তমান শ্রম আইনের প্রয়োজনীয় এবং মৌলিক সংস্কার অথবা একাধিক আইন প্রণয়ন করবে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও