সর্বজনীন মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি

যুগান্তর শায়রুল কবির খান প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৯

স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাগরিকদের সংবিধানসম্মত সব অধিকার ভোগ করার বিষয়টি সর্বত্রই সুনিশ্চিত করা হয়েছে। আমাদের পবিত্র সংবিধানেও রাষ্ট্রের সব ক্ষমতার উৎস-মালিকানা জনগণের ওপর প্রতিষ্ঠার বিষয়টি সুদৃঢ়ভাবে ঘোষিত আছে। মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখাসহ নানাবিধ ধর্মীয়-আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জনগণের অবাধ-স্বাধীন অংশগ্রহণ এবং সার্বিক উপভোগের নিশ্চয়তা সংবিধানে সুরক্ষিত থাকলেও বিগত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী সরকার গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পদে পদে ভূলুণ্ঠিত করেছে। সরকার সম্পূর্ণরূপে কলুষিত হয়ে পড়েছিল।


ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময় ২০২২ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সফর করেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি-গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে সরকারের মন্ত্রীদের কাছে বহুবিধ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন তিনি।


৪ দিনের সফর শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে দেওয়া বিবৃতিতে বাংলাদেশের মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করে তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপিত বিভিন্ন মানবাধিকার প্রতিবেদনে নাগরিক সমাজের গুরুত্ব সীমিত করা হয়েছে।’ তার বক্তব্যে ক্রমবর্ধমান নজরদারি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রতিশোধমূলকভাবে বাকস্বাধীনতা হরণ করার বিষয়গুলো প্রমাণিত হয়েছে।


বিভিন্ন আইন ও নীতিমালার মাধ্যমে এনজিওগুলোর ওপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা আরোপ এবং ব্যাপকভাবে বাকস্বাধীনতা হরণের ফলে তাদের জন্য ফলপ্রসূভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন এবং কখনো কখনো ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে।


বাকস্বাধীনতা; রাজনৈতিক কর্মী, বিরোধী দল এবং সাংবাদিকদের সংগঠনের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ছিল না। নাগরিক ও রাজনৈতিক সমাজের ভূমিকা জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের জন্য নির্বাচনের সময়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট। এ বিবেচনায় আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করে প্রতিবাদ সমাবেশগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও