সংস্কার প্রস্তাবে বিএনপির হ্যাঁ না

জাগো নিউজ ২৪ মোস্তফা হোসেইন প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৮

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাব বিষয়ে বিভিন্ন দলের মতামত চাওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি তাদের মতামত দিতে কিছুটা সময় নিয়েছে। তাদের মতামতের দিকে সংস্কার কমিশনগুলো, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে কৌতূহল ছিল। তবে সংস্কার কমিশনের রিপোর্টগুলো নিয়ে বিএনপি অনানুষ্ঠানিক মন্তব্য অনেকদিন আগে থেকেই করে আসছিল। যার প্রতিফলন তাদের মতামতেও দেখা গেছে।


এর আগে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলগুলো আনুষ্ঠানিক মতামত জানিয়েছে। আর সেগুলো সংস্কার প্রস্তাবকে মোটামুটিভাবে সমর্থন জানানোতেই সীমাবদ্ধ ছিল। বিএনপির মতামত সেক্ষেত্রে সবার নজর কাড়ে। আর তাদের মতামত বলতে গেলে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবের উল্টোমুখী। এই মুহূর্তে বৃহত্তম রাজনৈতিক দলটির মতামতকে উপেক্ষা করে সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করা কিংবা বাস্তবায়ন করা কতটা সম্ভব হবে সে বিষয়টি আলোচনায় চলে আসে। বিএনপি সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবনার অধিকাংশ কিংবা গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোর ব্যাপারে যেভাবে অসমর্থন জানিয়েছে ঠিক তার উল্টো দিক দেখা যায়, জামায়াতে ইসলামিসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে। যাদের জনসমর্থন সাংগঠনিক ভিত্তির কোনোটাই বিএনপির সঙ্গে তুলনীয় নয়। দেখা যাক তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামতগুলো কি।


এক ব্যক্তি একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান থাকতে পারবে না এমন প্রস্তাব মানতে নারাজ বিএনপি। এর সঙ্গে দলীয় রাজনীতির গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয় কি না ভাবার অবকাশ আছে। রাজনৈতিক দলগুলো গঠনতন্ত্রে যদি এমন বিষয় সংশ্লিষ্ট না থাকে, অর্থাৎ কোনো দল যদি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় নেতা একই ব্যক্তি হতে বাধা না দিয়ে থাকে, তাহলে আইন মাধ্যমে সেই ব্যবস্থা করা কি যৌক্তিক হতে পারে? তবে প্রস্তাবটি আইনি বিধান হলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এটা বলা যায়। অবশ্য এর অন্য একটি দিকও আছে। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান যদি একই ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে সরকারকে দল থেকে আলাদা করা কঠিন হয়ে পড়ে। আবার দলও সরকারের কোনো কাজে দ্বিমত প্রকাশ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। অন্যদিকে একটা দল নির্বাচনের সময় তার দলের লক্ষ্য ও কর্মসূচি নিয়ে ভোটারের কাছে যায়। ইশতিহারে দলের নেতা থেকে শুরু করে তাদের পরিকল্পনাসমূহ তারা সবই জনগণের সামনে হাজির করে। এক্ষেত্রে দলগুলোর গঠনতন্ত্রে সংস্কার আনতে হবে। এই আইনি বিধান কি উদার গণতান্ত্রিক মতবাদকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে না?


বাংলাদেশের ইতিহাসে দুটোরই চর্চা হয়েছে। যুক্তফ্রন্ট আমলে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে দেখা গেছে দলীয় নেতৃত্ব গ্রহণ করতে গিয়ে। আবার স্বাধীনতা লাভের পরপরই বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে তাদের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করতে হয়েছে দলীয় নেতা ও প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি হওয়ার প্রয়োজনে। সেসব ছিল দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়, বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া বিষয় ছিল না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও