ব্যাটারি রিকশায় ৩২ শতাংশ দুর্ঘটনা, বিকল্প যা হতে পারে

ঢাকা পোষ্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৯

আমরা আসলে জানি না আমাদের কী প্রয়োজন। এক সময় বাটন ফোন ছিল, আমরা তাতেই খুশি ছিলাম কিন্তু যখন স্মার্টফোন আসলো আমরা তাতেই অভ্যস্ত হলাম—হারিয়ে গেল বাটন ফোন, এমনকি বন্ধ হলো অনেক কোম্পানি।


মোবাইল ফোনের ক্যামেরার কারণে হারিয়ে গিয়েছে রিল ক্যামেরা আর হারাতে বসেছে ডিজিটাল ক্যামেরাও। এভাবে নতুন নতুন উদ্ভাবন মানুষের সামনে আসে আর আমরা ক্রমান্বয়ে তাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি আমরা। এই যে পরিবর্তন এটা কিন্তু গ্রাহক চায়নি বরং আমাদের সামনে যখন উপস্থাপন করা হলো তখন আমরা জড়িয়ে গেলাম একটার পর একটা আয়েশি প্রক্রিয়ায়।


এ ঘটনা থেকে আমাদের একটা শিক্ষা নেওয়ার আছে আর তা হলো, কোনো একটা সিস্টেমকে দুইভাবে থামানো যায়, প্রথমত তা বন্ধ করে দিয়ে দ্বিতীয়ত তার চেয়ে ভালো কিছু নিয়ে এসে। আপনি কি খেয়াল করেছেন ঠিক এমন একটা ব্যাপার কিন্তু আমাদের সড়কে ঘটে যাচ্ছে।


ঢাকা শহরে এক সময় রিকশার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছিল কিন্তু ৬/৭ মাসে মহামারি আকারে ব্যাটারি রিকশা চলে আসাতে প্যাডেল রিকশার সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে আর যাত্রীও কিন্তু রাস্তায় প্যাডেল রিকশার চেয়ে ব্যাটারি রিকশাকে প্রাধান্য দিতে শুরু করেছে। ঢাকা শহরে যানজট ও পরিবেশ দূষণের একটি বড় কারণ হলো ব্যাটারিচালিত রিকশা। এগুলো বিদ্যুতের অপচয় করছে, যত্রতত্র সড়কে ঢুকে পড়ছে এবং দুর্ঘটনা বাড়াচ্ছে।


ব্যাটারি রিকশা এমনভাবে বাড়ছে যে, আমি প্রায় নিশ্চিত একে আর কেউ থামাতে পারবে না, থামাতে চাইবেও না। বর্তমান সরকার থামায়নি। এই নীরবতার সুযোগে এটা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। আর রাজনৈতিক সরকারের ঘাড়ে এসে যখন এই দায়িত্ব পড়বে ততদিনে এর শেকড় চলে যাবে অনেকদূর।


ঈদের ছুটির চার দিনে দেশের ১০টি বড় সরকারি হাসপাতালে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে যারা চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের ৩২ দশমিক ১০ শতাংশ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় আহত হন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের করা ২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৪ সালের ঈদুল আজহায় সড়কে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল মোটরসাইকেল; ৫১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এবার মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা প্রায় সমান।


এই রিকশাকেন্দ্রিক অনেক ধরনের ব্যবসা তৈরি হচ্ছে এবং হবে যার সাথে প্রভাবশালী অনেক মহলের স্বার্থ ক্রমশ জড়িয়ে যাচ্ছে। এখন সমস্যা হচ্ছে যদি জোর করে এদের বন্ধ করা হয় তাহলে তারা আন্দোলন করে রাস্তা বন্ধ করবে আর চলতে দিলে যানজট তৈরি করে রাস্তা বন্ধ করবে। তার মানে আমরা সাধারণ যাত্রীরা পড়ে গিয়েছি ব্যাটারিচালিত রিকশার গোলক ধাঁধায়।


তবে উপায় চাইলে এই গোলক ধাঁধাঁ থেকে বের হওয়া যাবে আর তা হলো মানুষের সামনে যদি আমরা ব্যাটারির রিকশা বা রিকশার চেয়ে ভালো, নিরাপদ, অন্য একটা মাধ্যম নিয়ে আসতে পারি। আর এমন একটি মাধ্যম যা ইতিমধ্যে সারা পৃথিবীতে স্বীকৃত তা হলো বাইসাইকেল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও