মক্কা বিজয়ের ঐতিহাসিক স্মৃতিধন্য রমজান

প্রথম আলো শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২৫, ২১:৩৮

ইসলামের শ্রেষ্ঠ বিজয় ও মানবতার চূড়ান্ত বিজয় সংঘটিত হয় অষ্টম হিজরির ১৯ রমজান। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনায় আগমনের পর দ্বিতীয় হিজরিতে কুরাইশরা মদিনা আক্রমণ করে। পরে সংঘটিত হয় বদরের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে কুরাইশরা চরমভাবে পরাজিত হলেও পরের বছর তৃতীয় হিজরির ৭ শাওয়াল (২৩ মার্চ ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দ) শনিবার তারা আবার মদিনা আক্রমণ করে। সংঘটিত হয় ঐতিহাসিক ওহুদের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে সাহাবিরা নবীজি (সা.)–এর নির্দেশনা ভুলে যাওয়ার কারণে মুসলমানদের পরাজয় হয়।


এরপর ষষ্ঠ হিজরির জিলকদ মাসে নবীজি (সা.) ওমরাহর উদ্দেশ্যে দেড় হাজার সাহাবি নিয়ে মক্কার দিকে রওনা হন। কুরাইশরা বাধা দিলে নবীজি (সা.) হুদায়বিয়া নামক জায়গায় অবস্থান করেন। সেখানেই সম্পাদিত হয় ইতিহাসখ্যাত ‘হুদায়বিয়ার সন্ধি’, যা বিশ্ব ইতিহাসে প্রথম লিখিত সন্ধিচুক্তি।


হুদায়বিয়ার সন্ধির পর মক্কার ‘বনু খোজায়া’ গোত্র হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর সঙ্গে ও ‘বনু বকর’ গোত্র কুরাইশদের সঙ্গে মৈত্রী চুক্তি করে। এ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পূর্বশত্রুতা ছিল। কুরাইশদের প্ররোচনায় ‘বনু বকর’ রাতের অন্ধকারে অতর্কিতে ‘বনু খোজায়া’ গোত্রের আবাসভূমি ‘ওয়াতির’–এর নিভৃত পল্লিতে হামলায় অসহায় নারী ও শিশুদের নির্বিচার হত্যা ও লুণ্ঠন করে।


প্রাণভয়ে পবিত্র কাবাঘরে আশ্রয় নেওয়া নিরীহ মানুষকেও তারা হত্যা করে। এ ঘটনার প্রতিকারের জন্য খোজায়া সম্প্রদায় মদিনার মিত্র মুসলমানদের সহযোগিতা চায়।



হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই অপকর্মের প্রতিকারের জন্য দূত মারফত মক্কার কুরাইশ নেতাদের বলেন, ‘তোমরা বনি খোজায়া গোত্রকে উপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাও, নয়তো বনু বকর গোত্রের সঙ্গে মৈত্রী চুক্তি বাতিল করো; না হলে হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্ত লঙ্ঘন হেতু এ চুক্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।’ কুরাইশ নেতারা তৃতীয় পন্থাই গ্রহণ করল এবং চুক্তি বাতিল করল। বিশ্বমানবতার কেন্দ্রভূমি মক্কা মুকাররমাকে পঙ্কিলতামুক্ত করার জন্য অষ্টম হিজরিতে বিশ্বনবী নীরব আয়োজন করলেন।


১০ রমজানে ১০ হাজার সাহাবিসহ হজরত মুহাম্মদ (সা.) মদিনা থেকে মক্কার উদ্দেশে অভিযাত্রা শুরু করেন। মক্কার উপকণ্ঠে এসে ‘মাওয়ারাউজ জাহরান’ নামক গিরি উপত্যকায় তাঁবু স্থাপন করলেন।


১৯ রমজান রাতে আবু সুফিয়ান হাকিম ইবনে নিজাম ও বুদাইলকে সঙ্গে নিয়ে অনুসন্ধানে বের হলে হজরত উমর (রা.)–এর নেতৃত্বে টহলরত ছদ্মবেশী গেরিলা সাহাবিরা তাঁদের বন্দী করেন এবং তাঁদের নবীজি (সা.)–এর কাছে নিয়ে আসেন।


দীর্ঘ ২১ বছরের নিষ্ঠুরতার গুরু আবু সুফিয়ানকে রহমতের নবী (সা.) প্রেম–ভালোবাসার দীক্ষা দিলেন। পাষাণহৃদয় দয়ার সাগরে স্নাত হলো; আবু সুফিয়ান ইমান আনলেন।


প্রিয় নবী (সা.) মক্কা জয়ের আগেই মক্কাবাসীদের মন জয় করে বড় বিজয় অর্জন মনে করলেন। এ সময় নবীজির চাচা হজরত আব্বাস (রা.), যিনি কৌশলগত কারণে মক্কাবাসীদের কাছে তাঁর ইসলাম গ্রহণ গোপন রেখে ছিলেন, তিনি তাঁর ইসলাম গ্রহণ প্রকাশ করলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও