
নতুন বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি
বিগত সাড়ে পনেরো বছর দেশে কোনো স্তরে, কোনো ধরনের রাজনীতি অবশিষ্ট ছিল না। যা ছিল দখলদারিত্ব ও লুটপাটের সংস্কৃতি। সেটাকে কোনোভাবেই রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলার সুযোগ নেই। তাকে স্রেফ আওয়ামী দুঃশাসন বলা চলে। সে দুঃশাসন ধীরে ধীরে রাষ্ট্রকে একনায়কতন্ত্রের দিকে ধাবিত করে। যার প্রভাব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক আকারে পড়েছে। বাংলাদেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছিল না। প্রতিষ্ঠানগুলো লুটপাট আর অবৈধ ক্ষমতা চর্চার কারখানায় রূপান্তরিত হয়।
বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই দুঃশাসনকে উপেক্ষা করে রাষ্ট্রের হয়ে লড়াই জারি রেখেছিল একমাত্র রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। অবিরাম দুঃশাসনের ফলে অনেক ছাত্র সংগঠন সরকারি সংগঠনের ছায়াতলে থেকে স্বৈরাচারকে দীর্ঘায়িত করলেও, ছাত্রদল রাষ্ট্রের প্রশ্নে কখনোই আপস করেনি। যার ফলে ছাত্রদলকে বরণ করে নিতে হয়েছে মানবেতর জীবনযাপন। যেখানে ন্যূনতম নিরাপত্তা ছিল না। গুম, খুন, কারাগার ও হাসপাতালই ছিল ছাত্রদলের নিত্যসঙ্গী। জীবনের সব সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে রাষ্ট্রের কাছে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে মানবেতর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়েছে যে অনুভূতি, সেই অনুভূতির নামই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের সব থেকে নিপীড়িত রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন হচ্ছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এভাবে টানা সাড়ে ১৫ বছরের দীর্ঘ লড়াই স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো ছাত্র সংগঠনকে করতে হয়নি।
- ট্যাগ:
- মতামত
- লুটপাট
- ছাত্র রাজনীতি
- দখলদারিত্ব