
ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন থামাতে হবে
তার সাজপোশাকে তথাকথিত উগ্রতা ছিল না। থাকবেই-বা কীভাবে? মাত্র আট বছর বয়সী একটি মেয়েশিশুর পোশাকই-বা কী? আর উগ্রতাই-বা কী? কিন্তু তারপরও সে রেহাই পায়নি। তার সবচেয়ে বড় ‘অপরাধ’, সে ছিল নারী। তাকে ‘ভোগ’ করা যায়, ধর্ষণ করা যায়। হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়া যায়। ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ফলে মাগুরার সেই ছোট্ট শিশুটি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এ ঘটনায় শুধু ওই মেয়েশিশুই নয়, তার দরিদ্র পরিবারও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। বিপর্যস্ত দেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন অগণিত মানুষ।
বর্তমানে সারা দেশে বল্গাহীনভাবে মেয়েশিশু ও নারীর ওপর নির্যাতন ও নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। নির্যাতনকারীদের শাস্তি না হওয়া এবং একধরনের সামাজিক বৈধতা পাওয়ায় এ ধরনের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শিথিল ভূমিকা, যেকোনো ধরনের নারী নির্যাতনের ঘটনায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি, মামলা করতে না দেওয়া বা আপসের জন্য অপরাধীদের পক্ষ থেকে চাপ প্রয়োগ, সুষ্ঠু ও দ্রুত তদন্ত না হওয়া, অনেক ক্ষেত্রে মব সৃষ্টি করে নারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া, ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীদের ওপর বিভিন্ন রকম বিধিনিষেধ আরোপ, সামাজিক লোকলজ্জা ও ভীতি ইত্যাদি নানাবিধ কারণে এ ধরনের অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। যে কারণে শহর-গ্রামে বয়স্ক নারী, তরুণী থেকে মেয়েশিশুরাও নির্যাতন-নিপীড়ন-ধর্ষণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক পরিস্থিতি।
- ট্যাগ:
- মতামত
- নারী নির্যাতন
- শিশু ধর্ষণ