You have reached your daily news limit

Please log in to continue


নতুন দলের সেকেন্ড রিপাবলিক নিয়ে যে প্রশ্ন

অবশেষে বিপুল কলরবে রাজনীতির মঞ্চে নামল জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি)। বিপুল কলরব এই অর্থে যে জন্মের সঙ্গে সঙ্গে দলটি ব্যাপকভাবে মানুষের, বিশেষ করে রাজধানীর মধ্যবিত্ত মানুষের ব্যাপক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আমাকে সংবাদমাধ্যমগুলোর বহু সাংবাদিক মন্তব্যের জন্য ফোন করেছেন। তাঁদের প্রশ্নের জবাবে আমি যা বলেছি, সেটা দিয়েই আজকের লেখা শুরু করি।

সাধারণভাবে বলা যায়, রাজনীতির যত বিস্তার ঘটে, চর্চা হয়, যত বেশি মানুষ রাজনীতিতে যুক্ত হয়, ততই রাজনীতি স্পষ্ট হয়, পরিচ্ছন্ন হয়। এই হিসাবে এ দেশের তরুণসমাজ ও ছাত্রসমাজ রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছে—এটা একটা খুশির খবর।

২০২৪ সালের অনন্য গণ-অভ্যুত্থান মানুষের চিন্তাকে রাতারাতি পাল্টে দিয়েছে। আগে মানুষ রাজনীতির সমালোচনা করত, রাজনীতিবিদদের দেখতে পারত না। একটা বড় গ্রুপই গড়ে উঠেছিল ‘আই হেট পলিটিকস’ নামে। কিন্তু ৮ আগস্টের অল্প দিন পর থেকেই মানুষ বুঝতে শুরু করল, রাজাকে রাজনীতি জানতে হয়। একটা অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হলো। কিন্তু এই অন্তর্বর্তী সরকারে যে কোনো রাজনীতিবিদ নেই এবং এ কারণে এটা যে একটা দুর্বল সরকার, এটা অনেকে বলাবলি করতে লাগল।

প্রকৃতপক্ষেই রাজনীতি হলো সমাজের চালিকা শক্তি। আর যা কিছু আছে—অর্থনীতি, সংস্কৃতি, শিক্ষা, সাহিত্য—সবকিছুই পরিচালিত। সাকিব আল হাসান খেলতে পারবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত নেয় রাজনীতি। বাজেটে কোথায় কত টাকা বরাদ্দ করা হবে, সে সিদ্ধান্ত নেয় রাজনীতি। একটা সিনেমা কিংবা নাটক প্রদর্শিত হবে কি না, সে সিদ্ধান্তও নেয় রাজনীতি। এ জন্যই এই তরুণ ছাত্ররা রাজনীতিতে সক্রিয় অংশ নিচ্ছে—এটাকে আমি শুভ লক্ষণ মনে করি। আর এই তরুণ ছাত্ররাই তো মাত্র গত বছরের শেষ দিকে একটি অসাধ্যসাধন করেছে, যা গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক দলগুলো যুগপৎভাবে আন্দোলন করেও করতে পারেনি।

ছাত্র-যুবকদের ধন্যবাদ। ফ্যাসিবাদবিরোধী সেই রক্তাক্ত লড়াই শেষ হয়েছে। পাহাড়প্রমাণ ত্যাগ-তিতিক্ষার পর আমরা জিতেছি এ লড়াই। কিন্তু তাই বলে লড়াই শেষ হয়নি। সামনে আছে আরেক লড়াই—দেশ গড়ার লড়াই, নতুন বাংলাদেশ গড়ার। কিন্তু এ লড়াই আলাদা। প্রথম পর্যায়ের লড়াই শেষ হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জানবাজি লড়াইয়ের বিজয়ে। এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশ গড়ার লড়াই; আন্দোলনের মধ্য থেকে যার স্লোগান উঠেছিল নতুন বাংলাদেশ গড়ার। কীভাবে গড়ে উঠবে সেই দেশ?

এখানেই সংস্কারের কথা উঠেছে। এ কথা আমরা সবাই জানি, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। ৫৩ বছরের বাংলাদেশ আজও আমাদের বাসযোগ্য হয়নি। এটা ছিল একটা মৃত্যু-উপত্যকা। সেই মৃত্যুর কোনোটাই স্বাভাবিক নয়। সড়ক দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে গুম, খুন, ক্রসফায়ার, আয়নাঘর—কোনো কিছু বাকি থাকেনি। এসবের অবসান চাই। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই। ১৫ বছরের আওয়ামী শাসন ছিল একটা দুঃস্বপ্নের মতো। মানুষ মানুষ ছিল না। তার কথা বলার অধিকার ছিল না। ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল না, গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছিল। নির্বাচন বলে যে প্রক্রিয়া, তা ছিল শেখ হাসিনার ইচ্ছার দাস।

যারা এসব মানবতাবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী অপরাধ করেছিল, তাদের বিচার হওয়ার প্রয়োজন ছিল এবং নতুন একটা পরিবেশ গড়ে তোলার দরকার ছিল, যা গণতন্ত্রের জমি তৈরি করতে পারে। এ জন্যই সংস্কারের কথা এসেছে। সংস্কার, যা রাষ্ট্রকে গতি দেবে, মানুষকে দেবে স্বস্তি, শান্তি। ভোটপ্রক্রিয়াকে করবে সবার জন্য গ্রহণযোগ্য। খুবই ধীরস্থিরভাবে, জ্ঞানের আলোকে ঠান্ডা মাথায় চিহ্নিত করতে হবে ভুলত্রুটিগুলো এবং তার যথাযথ সংশোধন করতে হবে। নিশ্চয়ই বলে দেওয়ার দরকার পড়ে না যে এ লড়াই স্বৈরতন্ত্রের উৎখাতের লড়াই থেকে আলাদা। এখানে আবেগ বড় নয়। রাগ, ক্রোধ দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আমাদের কাঙ্ক্ষিত জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে।

এ কথা এখন বিতর্কহীনভাবে প্রতিষ্ঠিত যে জুলাই অভ্যুত্থান ছিল প্রধানত স্বতঃস্ফূর্ত। ফ্যাসিবাদ যে নৃশংসতায় গণ-আন্দোলনকে দমন করে আসছিল, তার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত ও সাহসী প্রতিবাদ। এ জন্যই যখন ফ্যাসিবাদ পরাজিত হয়েছিল, তখন আন্দোলনের নেতৃত্ব বলে সংজ্ঞায়িত কিছু ছিল না। শেখ হাসিনার পরাজয়ের পরে শাসনকার্যে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল, তাকে কোনো রকমে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছিল। পরবর্তীকালে আমরা এখানে চিন্তার দুটি ধারার প্রকাশ দেখি। একটি র‍্যাডিক্যাল ধারা (আমি বিপ্লবী বলব না), আরেকটি গণতান্ত্রিক বা সাংবিধানিক ধারা। এ জন্যই ক্ষমতার শূন্যতা দেখা দেওয়ার পরে তা পূরণ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আশ্রয় নেওয়া হয়েছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন