![](https://media.priyo.com/img/500x/https://static.bonikbarta.com/original_images/wf_V9XTiux.jpg)
রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারসহ উন্নয়নে প্রবীণের অভিজ্ঞতা ও নবীনের শক্তি কাজে লাগাতে হবে
সম্রাট ও সাম্রাজ্য শব্দ দুটি একে অন্যের পরিপূরক। কারণ সাম্রাজ্যের অধিপতি না হলে সম্রাট হওয়া যায় না। পাশাপাশি সম্রাটের জৌলুস বৃদ্ধি পায় সাম্রাজ্য বিস্তারের পথ ধরে। বর্তমান জমানায় বিশ্ব মোড়ল ও তাদের সহযোগী আঞ্চলিক পরাশক্তিগুলো সেই একই কাজ সমাধা করে থাকে ছলে-বলে-কলাকৌশলে। প্রাচীনকালে সাম্রাজ্য বিস্তারের নিমিত্ত নেপোলিয়ন কিংবা আলেকজান্ডারের মতো মহামতি সম্রাটরা যখন তখন বিভিন্ন ভূখণ্ডে সামরিক অভিযান পরিচালনা করত। যুদ্ধবিগ্রহের কারণে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হতো। সরাসরি হুমকির সম্মুখীন হতো সংশ্লিষ্ট ভূখণ্ডের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব।
এর ফলে সাম্রাজ্যবাদী শাসকগোষ্ঠীর আগ্রাসী এ মনোভাব সরাসরি বিশ্ববাসীর দৃষ্টিগোচর হতো। বিভিন্ন সম্প্রদায় তাদের ধিক্কার জানাত। তাই সময়ের আবর্তে পাল্টেছে তাদের আগ্রাসনের কলাকৌশল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-উত্তর সময়ে সাম্রাজ্যবাদী চিন্তাভাবনার এ ধরন অনেকটাই পরিবর্তিত হয়ে গেছে। দেখা যায়, কখনো চলছে স্নায়ুযুদ্ধ আবার কখনো-বা চলছে কূটনৈতিক কৌশলের খেলা। এতে বন্ধু সেজেও প্রতিপক্ষ বা কাঙ্ক্ষিত একটি রাষ্ট্রকে অতি সহজেই বাগে আনা যায়। স্বাধীনতার ছদ্মাবরণে রাষ্ট্রটিকে পরাধীনতার শিকলে বন্দি রেখে সহজেই সিদ্ধি করা যায় নিজেদের স্বার্থ। আর যদি ওই রাষ্ট্রে পাওয়া যায় তেল-গ্যাসের মতো প্রাকৃতিক সম্পদ, সহজলভ্য ও সস্তা জনবল কিংবা সেখানে মিলে যায় ভূরাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সহজ-সরল সমীকরণ তবে তো কথাই নেই। একেবারে সোনায় সোহাগা। আমার প্রিয় জন্মভূমি এ বাংলাদেশও বহু বছর ধরে এমন একটি হিসাব-নিকাশের বেষ্টনীতে আবদ্ধ আছে। বিশ্ব মোড়ল ও আঞ্চলিক উদীয়মান শক্তিগুলোর কঠোর নজরদারি দেশটির পেছনে ধাওয়া করছে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- রাষ্ট্র সংস্কার