ঘুণাক্ষর
ঘুণে ধরা সমাজ বা কাঁচা বাশে ঘুণে ধরার কথা দৈনন্দিন জীবনে আমরা কে না শুনেছি? আবার ঘুণাক্ষরে টের না পাওয়ার বিষয়টিও আমরা কমবেশি শুনেছি। নেতিবাচক অর্থে এই ঘুণে ধরার বিষয়টি আমাদের সমাজব্যবস্থায় যেন পাকাপোক্ত স্থান করে নিয়েছে। যদিও এই ঘুণে ধরার বিষয়টি আক্ষরিক এবং আলংকারিক উভয় অর্থেই নেতিবাচক। তেমনি আরেকটি শব্দ হলো ঘুণাক্ষর। আমরা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ অনুসারে প্রায়ই এই ঘুণাক্ষরে শব্দটির ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই ঘুণাক্ষর মানে কী? ঘুণপোকা কীভাবে অক্ষর তৈরি করে? ঘুণপোকার এই বর্ণমালা-জ্ঞান কি সহজাত? এইসব কৌতূহলকে মাথায় রেখে তবে চলুন আজ জানব ঘুণাক্ষরের সাতসতেরো।
সংস্কৃত ঘুণ এবং অক্ষর শব্দ সহযোগে ঘুণাক্ষর শব্দটি তৈরি হয়েছে। আভিধানিকভাবে ঘুণাক্ষর শব্দের মানে হলো ঘুণপোকা কাঠ বা কাগজ কুরে খাওয়ার ফলে সৃষ্ট অক্ষরসদৃশ ক্ষতচিহ্ন। আর আলংকারিকভাবে ঘুণাক্ষর মানে হলো সামান্যতম ইঙ্গিত বা আভাস। যে পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলি, ‘বিষয়টি আমি ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি।’ এই ঘুণাক্ষরে টের না পাওয়ার মধ্যেও মাঝে মাঝে কিন্তু একধরনের নেতিবাচক ভাবের ইঙ্গিত রয়েছে। ঘুণাক্ষর শব্দের প্রচলিত এই অর্থগুলোর বাইরেও আরও কিছু অর্থ রয়েছে। সেগুলো হলো: আশ্চর্য ঘটনা; সৌভাগ্য; সুরতি বা জুয়া খেলা প্রভৃতি।
- ট্যাগ:
- মতামত
- সমাজ ব্যবস্থা