খাওয়া-পাওয়ার রাজনীতির কি শেষ নেই

www.ajkerpatrika.com বিভুরঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৫

বাংলাদেশকে বলা হয় আন্দোলন-সংগ্রামের দেশ। রাজনীতি নিয়ে মানুষের আগ্রহ-কৌতূহল প্রবল। তবে রাজনীতিতে এখন দুষ্ট ও নষ্ট মানুষের আধিপত্য চলছে। ফলে রাজনীতিতে খারাপের সঙ্গে ভালোর প্রতিযোগিতা না হয়ে খারাপের সঙ্গে খারাপের প্রতিযোগিতা চলছে। একজন অধম হলে অন্য জন উত্তম হওয়ার চেষ্টা না করে অধমের খাতায়ই নাম লিখছে। আস্থা-বিশ্বাসের পরিবর্তে হিংসা-বিদ্বেষ এখন রাজনীতির উপজীব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুস্থ প্রতিযোগিতার বদলে প্রতিহিংসার পরিবেশ লক্ষ করা যাচ্ছে। রাজনীতি এখন আদর্শ থেকে সরে এসে অনেকটাই বাণিজ্যিক আকার ধারণ করেছে। রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের হাতে। রাজনীতি এখন পরিণত হয়েছে এক লাভজনক ব্যবসায়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতো প্রধান দলগুলো ক্ষমতায় থেকে বা ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে যেসব ভুল করেছে বা করছে, তার পেছনে কাঠামোগত সমস্যাগুলো গভীরভাবে জড়িয়ে রয়েছে। দখল, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি—এ সবই রাজনীতির অঙ্গ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।


৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন তথা শেখ হাসিনার বিদায়ের পর রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন আসবে বলে যে আশাবাদ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছিল, ৬ মাস পরে এসে তা অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে। শাসক বদল হলেও শাসনব্যবস্থা বদলের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের হাত ধরে যাঁরা ক্ষমতায় বসেছেন অথবা যাঁরা ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর, তাঁরা কথায় বড় হওয়ার প্রতিযোগিতায় থাকলেও কাজে বড় হওয়ার সক্ষমতা দেখাতে পারছে বলে মনে হয় না। নানা রকম সন্দেহ-অবিশ্বাস বাড়ছে। খাওয়া ও পাওয়ার জন্য নতুন করে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।


নানা বিষয়ে সংস্কার নিয়ে কথা হচ্ছে। কয়েকটি কমিশন গঠন করে বিভিন্ন সুপারিশ করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দেখার বিষয় সেটাই। দেশের রাজনীতির একজন দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষক হিসেবে কয়েকটি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার মনোযোগ আকর্ষণের গরজ বোধ করছি।



প্রথমত, রাজনীতিতে অর্থায়ন ও রাজনৈতিক ব্যয় ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে কিছু অসৎ ব্যবসায়ী রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে যে অভিযোগ, তা বিবেচনায় নিয়ে তাঁদের অর্থায়নের পদ্ধতি চিহ্নিত করতে হবে। এবং এ বিষয়ে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য যাতে কালোটাকা ব্যবহার করতে না পারে, তা আইন দ্বারা নিশ্চিত করতে হবে।


দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশের ছাত্র আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা মনে রেখেই বর্তমান ধারার ছাত্ররাজনীতি সংস্কার অপরিহার্য। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আদর্শিক ও নেতৃত্বগুণ তৈরির চর্চা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ছাত্ররাজনীতি হয়েছে রাজনৈতিক দলে সম্পৃক্তদের ‘চাকরি’ নিশ্চিত করার মাধ্যম। তাই এখন ছাত্ররাজনীতিকে সম্পূর্ণভাবে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে কেন্দ্রীভূত করতে হবে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব প্রশাসনিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনতে হবে।


তৃতীয়ত, ভালো নেতৃত্ব তুলে আনার জন্য রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক চর্চা ফিরিয়ে আনতে হবে। পরিবর্তন যদি দলের অভ্যন্তর থেকেই শুরু না হয়, তবে মাঠের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে না। সব রাজনৈতিক দলে নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এটি ভোট ও জনমত বিবেচনা করার মাধ্যমে নিশ্চিত করা সম্ভব।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও