জাস্টিন ট্রুডোর বিদায় ও কানাডায় পরিবর্তনের হাওয়া

ঢাকা পোষ্ট কানাডা ড. ফরিদুল আলম প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৩৮

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর রাজনৈতিক উত্থানটা নাটকীয় হলেও বিষয়টি অস্বাভাবিক নয়। ১৯৭১ সালে যখন তার জন্ম হয়, তার বাবা পিয়েরে এলিয়েট ট্রুডো তখন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। পিতার রাজনীতির সুবাদে রাজনীতিতে জড়িত না হয়ে পেশা হিসেবে বেছে নেন স্কুল শিক্ষকতাকে।


২০০৮ সালে অনেকটা হঠাৎই রাজনীতির মঞ্চে তার পদার্পণ, তখন তার বয়স ৩৬ বছর, তবে তার রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রকাশ ঘটে ২০০০ সালে, তার বাবার এক স্মরণসভায়, যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘এখানেই শেষ নয়’। এর কয়েকবছর পর একসময়ের প্রচণ্ড দাপটশালী লিবারেল পার্টির মধ্যে অন্তর্কোন্দল শুরু হলে দলটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব এসে পরে তার কাঁধে। তখন বয়স ৪১ বছর। মাত্র দুই বছরের মধ্যে সে সময়ের তৃতীয় অবস্থানে থাকা লিবারেল পার্টিকে টেনে তুলেন এক নম্বরে।


২০১৫ সালের নির্বাচনে কানাডা তথা সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেশটির সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে পরবর্তী নির্বাচনগুলোয়ও। জনগণ তার ওপর আস্থা রেখেছে বলে টানা তিনবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের মতো বিরল সুযোগ লাভ করেন।



সাম্প্রতিক সময়গুলোতে অনেকটা অভ্যন্তরীণ এবং অনেকটা বৈশ্বিক রাজনৈতিক কারণে তার সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। ৯ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের এই সময়টাতে ট্রুডোকে অনেক ধরনের আভ্যন্তরীণ চাপের সম্মুখীন হতে হয়। একসময় দেশের অর্থনীতির বেহাল অবস্থায় যারা তার দল এবং নেতৃত্বের ওপর আস্থা রেখেছিলেন, সেই ভোটারদের একটা বড় অংশই মনে করেন যে ট্রুডো অর্থনৈতিক দৈন্যদশা কাটাতে, বেকারত্ব দূর করতে এবং সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে গিয়ে এমন কিছু নতুন বিষয়ে করারোপ করেছেন, যা জনস্বার্থের বিরুদ্ধে গেছে।


সেই সাথে প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ দল এধরনের বিষয়গুলো আরও উসকে দেয়। বিষয়টির সূচনা তার প্রথম মেয়াদে হলেও ২০১৯ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও ক্ষুদ্র দলগুলোর সমর্থনে সরকার গঠন করতে তেমন অসুবিধা হয়নি। নিজের দলের অবস্থার উন্নতি হয়েছে ভেবে এবং দলকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে সরকারে আনার প্রয়াসে ২০২১ সালে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। সে বছরও একই অবস্থা হয় এবং অনেকটা ভঙ্গুর অবস্থায় তাকে সরকার গঠন করতে হয়।


এর মধ্যে ২০১৬ সালে জাতীয় কার্বন কর্মসূচির আওতায় দেশের কর রেয়াত পাওয়া মানুষকে করের আওতায় আনা হলে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে, যা আরও বৃদ্ধি পায় ২০১৭ সালে তার কিছু কেলেঙ্কারি, ২০১৮ সালে এক সাংবাদিকের সাথে অনৈতিক আচরণ, ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে নৈতিকতা বিষয়ক কমিশনের প্রতিবেদন, ২০২০ সালে করোনা মহামারি ঠেকাতে আইনের কঠোর প্রয়োগ ইত্যাদি কারণে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও