সমন্বিত উদ্যোগ দরকার

কালের কণ্ঠ ড. বিভূতি ভূষণ মিত্র প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০২

আড়িয়াল বিলের কথা বললেই হুমায়ুন আজাদের একটি কবিতার কথা মনে পড়ে যায়। ‘ভাল থেকো বক আড়িয়াল বিল ভাল থেকো’—কবিতার এই লাইনটি। আড়িয়াল বিল মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকা জেলায় অবস্থিত। এটি এক লাখ ৬৭ হাজার একর জায়গা নিয়ে বিস্তৃত।

এটি লম্বায় ২৬ কিলোমিটার আর প্রস্থে ১২ কিলোমিটার। এর প্রাচীন নাম চুড়াইন বিল। একটি তথ্য মতে, ব্রহ্মপুত্রের একটি শাখা নদী আড়িয়াল খাঁ। নদীটি এর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে একসময় মরে গিয়ে বিলে রূপান্তরিত হয়।

আড়িয়াল খাঁ নদীর নাম অনুসারে তখন এর নাম হয় আড়িয়াল বিল। এখানে হাজারখানেক জলাধার আছে। কিছু ছোট আবার কিছু বড়। পদ্মা ও ধলেশ্বরী নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠেছে এই বিল।

আড়িয়াল বিলে একসময় যেমন প্রচুর মাছ পাওয়া যেত, তেমনি দেখা যেত বহু রকম পাখি। যেমন—কালিম, চকা-চকি হাঁস, রাজহাঁস, বালিহাঁস, নারকলি, হাড়গিলা, ঢেউস্যা, বড় পানকৌড়ি, কাঁচিচোখা, সরালি ইত্যাদি। তবে এখন পাখির সংখ্যা অনেক কমে গেছে।



আড়িয়াল বিলের মাছও বেশ সুস্বাদু। এখানকার সরপুঁটি, হলুদ কই, কালকিনি মাছ বেশ বিখ্যাত।

বিলটি এখনো দেশীয় মাছের একটা বড় প্রয়োজন মেটায়। এখানকার মাছ উৎপাদন, বিপণন প্রভৃতি কাজে প্রায় দুই লাখ মানুষ জড়িত। এই বিলটিকে ঘিরেই ১০ লাখ লোকের জীবন-জীবিকা চলে। প্রাচীনকাল থেকেই এখানে একটি আড়িয়াল সভ্যতা গড়ে উঠেছে। শ্রীনগর, নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের ৭০টি গ্রাম এর সঙ্গে জড়িত।


আড়িয়াল বিল এখনো মুগ্ধ করার মতো সুন্দর। চারপাশে বিশাল জলরাশি আর তার মধ্য থেকে শাপলা ফুলের উঁকি দেওয়া মুখ মনকে ভরিয়ে তুলবে। শুধু শাপলা ফুল নয়, নানা ধরনের জলজ উদ্ভিদে ভরপুর এই বিলে রয়েছে কলমিশাক ও কচুরিপানার সৌন্দর্যও। বর্ষাকালে এটি পানিতে টইটম্বুর থাকে। তবে শীতকাল এলে এটি শস্যক্ষেতে পরিণত হয়। নানা ধরনের শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়। যখন হলুদ সরষে ফুলে বিলটি জেগে ওঠে। সেটিও তখন বেশ দেখার মতো হয়। এই বিলটিই মধ্যাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন বিল। ঢাকা থেকে মাত্র ৪২ কিলোমিটার দক্ষিণে শ্রীনগর উপজেলায় এটি অবস্থিত। এর আয়তন ১৩৬ বর্গকিলোমিটার।   

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও