ওষুধ বিপণনে উপঢৌকন প্রদান বন্ধ করা উচিত
নীলক্ষেতের বইয়ের দোকান এলাকায় গেলে আজকাল দেখতে পাবেন, ফুটপাতে নানারকমের উপহারপণ্য বিক্রি করছে কিছু মৌসুমি বিক্রেতা। চা, কফি, মসলা, ঘড়ি, পারফিউম, বডিলোশন, কলম, প্যাড, বেল্ট, ছুরি, প্লেট, গ্লাস, সাবান, শ্যাম্পু থেকে শুরু করে বাদাম, কিশমিশসহ বাহারি সব পণ্য। এসব পণ্যের গায়ে দেখবেন বিভিন্ন ওষুধের ব্র্যান্ডের নাম। মূলত এ নিত্যব্যবহার্য পণ্যসামগ্রী ওষুধ কোম্পানি থেকে চিকিৎসকদের জন্য উপহার হিসাবে দেওয়া হয়। সেগুলো চিকিৎসকদের হাত থেকে বিভিন্ন মৌসুমি বিক্রেতা কিনে এনে এখানে বিক্রি করছেন। ওষুধ হলো এক ধরনের কেমিক্যাল, যার সঠিক ব্যবহারে মানুষ সুস্থ হতে পারে।
অন্যদিকে অযৌক্তিক ব্যবহারে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই ওষুধের সঠিক ও নিরাপদ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের প্রদত্ত প্রেসক্রিপশনের ওপর আস্থা রাখতেই হবে। তাই জাতীয় ওষুধনীতিতে আইন করে ওষুধের ব্যবহারে চিকিৎসকদের ভূমিকা মুখ্য হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। যেহেতু চিকিৎসকরাই প্রেসক্রিপশন দিতে পারেন, সেহেতু ওষুধ কোম্পানি চিকিৎসকদেরই তাদের প্রাথমিক কাস্টমার হিসাবে মনে করে। চিকিৎসকদের মাধ্যমেই তাদের ব্যবসায় টিকে থাকা এবং উন্নতি উভয়ই সম্ভব। ফলে কারখানায় ওষুধ উৎপাদনের পাশাপাশি তা চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনে তোলার কাজটি কোম্পানির বিপণন বিভাগের হাতে ন্যস্ত। অর্থাৎ ওষুধের বিপণনের ওপর নির্ভর করছে কোম্পানির সার্বিক উন্নতি।
- ট্যাগ:
- মতামত
- উপঢৌকন
- ওষুধ বিক্রি