‘জুলাই প্রোক্লেমেশন’ টু ‘মার্চ ফর ইউনিটি’
কথা ছিল প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভ্যুলেশন বা জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পেশ করা হবে। ঘটনাবহুল ২৪ সালের শেষদিন ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। আয়োজক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বলা হয়েছিল, এই ‘জুলাই প্রোক্লেমেশন’ হবে ‘আগামীর বাংলাদেশের ঘোষণাপত্র’। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে এর মাধ্যমে ‘নাৎসি বাহিনীর’ মতো ‘অপ্রাসঙ্গিক’ ঘোষণা করা হবে। একইসঙ্গে ১৯৭২ সালের ‘মুজিববাদী’ সংবিধানের ‘কবর’ রচনা করা হবে।
যে ঘোষণাপত্র এদিন পাঠ করা হবে বলে শোনা যাচ্ছিলো, তার একটি কপি দুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায় অথবা ছড়িয়ে দেওয়া হয় পাবলিকের পালস বোঝার জন্য। কিন্তু তারপরও এদিন সত্যিই কী ঘোষণা দেওয়া হবে; সংবিধান বাতিল করে একটি বিপ্লবী সরকার গঠনের ঘোষণা দেওয়া হবে কি না; যদি এরকম ঘোষণা আসে তাহলে রাজনৈতিক দলগুলো, বিশেষ করে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত বিএনপির প্রতিক্রিয়া কী হবে; সেনাবাহিনীই বা বিষয়টিকে কীভাবে নেবে— এসব নিয়ে জনমনে যখন নানা প্রশ্ন ও সংশয় তৈরি হচ্ছিলো এবং এই কর্মসূচি ঘিরে কোনো নাশকতা ঘটে কি না বা ঘটানো হয় কি না— তা নিয়েও উদ্বেগ ছিল। কিন্তু অনুষ্ঠানের ঠিক আগের রাতে দৃশ্যপট পাল্টে যায়।
- ট্যাগ:
- মতামত
- অভ্যুত্থান