প্রথম আলোর ‘যা কিছু ভালো’ থেকে ‘জেগেছে বাংলাদেশ’

প্রথম আলো আনিসুল হক প্রকাশিত: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৯

প্রথম আলো ১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বর যখন প্রথম প্রকাশিত হয়, তখন থেকেই একটা স্লোগান ছিল প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যেক কর্মীর অন্তরে এবং উচ্চারণে: ‘যা কিছু ভালো, তার সঙ্গে প্রথম আলো’।


কিছুদিনের মধ্যেই দেশের মানুষ এই বার্তাকে ভালোবেসে আপন করে নেন। স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রথম আলোয় এসে তাদের বিতর্ক কিংবা বিজ্ঞান উৎসবের সঙ্গে থাকতে প্রথম আলোকে অনুরোধ করে এবং স্মরণ করিয়ে দেয় এই স্লোগানের কথা, ‘আমরা ভালো কাজ করছি, আপনাদের থাকতেই হবে। আপনারাই তো বলেন, যা কিছু ভালো, তার সঙ্গে প্রথম আলো।’ দেশে বন্যা হয়েছে, প্রথম আলো অফিসে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে এসেছেন সাধারণ মানুষ, ‘আপনারা এগুলো বিতরণ করার দায়িত্ব নিন,’ মানুষের এমন প্রত্যাশার কারণেই প্রথম আলো ট্রাস্ট গঠন করেছে, বন্ধুসভার মাধ্যমে বন্যায়, শীতে, সিডরে-আইলায় ত্রাণকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।


একেবারে শুরুর দিনগুলোয়, সেই ১৯৯৮ সালে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রচারণার জন্য একটা বিজ্ঞাপনের অঙ্গীকার ছিল দলনিরপেক্ষতা। রমনা রেস্তোরাঁর একজন কর্মী দুটো কাগজ পড়তেন। এক কাগজে থাকত সরকারি দলের কথা, আরেকটায় বিরোধী দলের কথা। প্রথম আলো বলেছিল, প্রথম আলো কোনো দলের হবে না, হবে নিরপেক্ষ।


শুরুতে প্রথম আলো নিজেকে পরিচয় দিত ‘একুশ শতকের দৈনিক’ বলে। ঝকঝকে ছাপা, রঙিন পৃষ্ঠা, প্রতিদিন একটা করে ফিচার ক্রোড়পত্র, দলনিরপেক্ষতা, মননে ও চিন্তায় আধুনিকতা—একুশ শতকের দৈনিক হিসেবে প্রথম আলোকে পাঠক শুরু থেকেই গ্রহণ করে নিতে থাকেন।


প্রকাশের অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই প্রথম আলো হয়ে ওঠে বাংলাদেশের পাঠকদের প্রিয়তম পত্রিকা। তখন প্রথম আলোর ট্যাগলাইন ছিল: ‘সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক’।



প্রথম আলোর আরেকটা জনপ্রিয় স্লোগান ছিল ‘চোখ খুললেই প্রথম আলো, চোখ খুলে দেয় প্রথম আলো’।


২০০৮ সালে প্রথম আলোর এক দশক পূর্ণ হয়। সে বছর খুবই ঘটা করে প্রথম আলো প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করে। স্লোগান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ‘বদলে যাও, বদলে দাও।’ নিজেকে বদলানোর কথাই বলা হয় বিশেষভাবে। প্রত্যেকে যদি একটু করে ইতিবাচকভাবে বদলে যাই, তাহলে দেশ এবং জগৎ অনেকটাই সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। সে বছর প্রথম আলোর কর্মসূচির মাধ্যমে বদলের শপথ নেন অনেক মানুষ।


‘বদলে যাও, বদলে দাও’, এই স্লোগান পরের বছরগুলোতেও অব্যাহতভাবে প্রচার করে গেছে প্রথম আলো। ২০০৯ সালের ৪ নভেম্বর রাজনীতি বিষয়ে বদলের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ লিখেছিলেন, ‘পাল্টে দিন দেশের রাজনীতিকে।’


২০১১ সালের ৪ নভেম্বরে দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির করুণ দশার প্রেক্ষাপটে আইরিন খান লিখলেন, ‘আর নীরব থাকা উচিত নয়।’ অধ্যাপক নূরুল ইসলাম লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশ বসন্তের অপেক্ষায়।’ যে অপেক্ষা হয়তো ২০২৪-এ এসে পূর্ণতা পেল। আর মুহাম্মদ ইউনূস সেই ২০১১ সালেই প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে লিখেছিলেন, ‘তরুণেরাই এগিয়ে থাকবে।’


ওই সময় প্রথম আলোর একটা প্রতিপাদ্য ছিল: ‘আসুন, দেশকে মায়ের মতো ভালোবাসি’।


২০১২ সালে এসে আমরা দেখি, সারা পৃথিবীর ১৯৮টি দেশ থেকে প্রথম আলো পড়া হয় অনলাইনে। বিষয়টাকে বিবেচনায় রেখে প্রথম আলো স্লোগান নেয়: ‘বিশ্বজুড়ে বাংলা, বিশ্বজুড়ে প্রথম আলো।’


২০১৩ সালে প্রথম আলো আবারও আস্থা প্রকাশ করে তরুণদের ওপরে। বাংলাদেশের কর্মোদ্যোগী নারী-পুরুষ, কৃষক-শ্রমিক, সাধারণ মানুষ এবং বিশেষ করে ছাত্রদের ওপরে। আমরা বলি, ‘যত দিন তোমার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ।’ এই ‘তুমি’টা ছিল বাংলাদেশের শিক্ষার্থী, তরুণ-যুবক, ছিল কৃষক এবং শ্রমিক। প্রবীণদের ওপরে নয়, ভরসা করতে হবে নতুনদের ওপরে, তা-ই ছিল প্রথম আলোর আবেদন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও