‘বিপ্লবের’ পরের গণতন্ত্রের চেহারাটা কেমন হবে

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৫২

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর যখন বিভিন্ন মহল থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা ও নির্বাচনের বাইরে রাখার নানা তৎপরতা চলছে, তখন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভিন্ন কথা বলেছেন।


তাঁর ভাষায়, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে নেবে। আমি তো সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক না। আমি নির্বাচন করব, অন্যদলগুলো করবে। জনগণ যাদের বেছে নেবে, তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’ সেই সঙ্গে তিনি এ–ও যোগ করেছেন, ‘যেই ব্যক্তিগুলো গণহত্যা, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তাঁরা যেন নির্বাচনে অংশ না নেন, সেটাই আমাদের বক্তব্য।’ (প্রথম আলো, ৪ অক্টোবর ২০২৪)


আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিএনপির যেসব নেতা বারবার কারারুদ্ধ ও মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন, তাদের মধ্যে মির্জা ফখরুল অগ্রগণ্য। সর্বশেষ গত বছর ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ পণ্ড হওয়ার একদিন পর রাত তিনটায় তাঁকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা প্রায় শখানেক।


বাংলাদেশে মির্জা ফখরুলই একমাত্র নেতা যিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েও শপথ নেননি। সংসদ সদস্য হিসেবে পাওয়া সুযোগ সুবিধার চেয়ে তিনি দলের মর্যাদাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। মির্জা ফখরুল ব্যক্তিগত খেদ ও মনোবেদনা ভুলে গিয়ে দেশের গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘমেয়াদে যেটি ভালো মনে করেছেন, সেটাই বলেছেন।



আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘না, আমরা চাই না দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হোক। কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমরা নই।’ এ ক্ষেত্রে আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার কথা মনে করতে পারি। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করায় আওয়ামী লীগ লাভবান হয়নি। বরং জামায়াতের প্রতি মানুষের সহানুভূতি বেড়েছে।


প্রথম আলোর সঙ্গে  সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল এমন কিছু কথা বলেছেন, যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কিংবা অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টার পছন্দ হবে না। এমনকি বিএনপি ও জোটের কট্টরপন্থী নেতারাও ভালো চোখে দেখবেন না। আওয়ামী লীগের পতনের পর এর কৃতিত্ব নিয়েও রাজনৈতিক দল ও ছাত্রনেতাদের মধ্যেও মতভেদ স্পষ্ট।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতারা মনে করেন,  রাজনৈতিক দলগুলো পনেরো বছর আন্দোলন করেও স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে পারেনি, তাঁরা ঘটিয়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ একে বিপ্লব ও দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসেবে অভিহিত করেছেন। কিন্তু একটি দেশে স্বাধীনতা একবারই আসে। সাতচল্লিশকে নাকচ করেই একাত্তর এসেছিল। দু্ হাজার চব্বিশ একাত্তরকে নাকচ করেনি। বরং একাত্তরের যে মৌল চেতনা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্যের অবসান, সেই পথে বাংলাদেশকে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।


ছাত্র আন্দোলনের বিজয় প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, ‘আমরা রাজনীতিকেরা পুরো ক্ষেত্রটা তৈরি করেছি। জুলাইয়ে এই আন্দোলন শুরুর আগপর্যন্ত আপনারা দেখেছেন, আমরা কীভাবে আন্দোলন করেছি। এমনকি এই জুলাইয়ে সবার আগে জেলে গেছে আমাদের লোকজন। এই আন্দোলনে আমাদের হিসাবমতে, ৪২২ জন বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থক নিহত হয়েছেন। আন্দোলনের ক্ষেত্রটা পুরোপুরিভাবে তৈরি করা।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও