অন্তর্বর্তী সরকারকে যে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে

যুগান্তর মোহা. আব্দুস ছালাম প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫

ছাত্র-জনতার রক্তে স্নাত হয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এ সরকার যাতে ব্যর্থ না হয়, সেটি বিগত স্বৈরশাসকের গুটিকয়েক উচ্ছিষ্টভোগী ছাড়া দেশের সর্বস্তরের মানুষের একান্ত প্রত্যাশা। সরকার গঠনের দেড় মাসেরও বেশি সময় পার হয়েছে। এ সময়ে সরকারের পক্ষে জনগণের কল্যাণ ও দেশের যে অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব ছিল, তা কতটুকু পূরণ হয়েছে, তা এখন সবার কাছে বিবেচ্য বিষয়। সেই সঙ্গে ব্যর্থতার জন্য সরকার ও দেশের অনাগত বিপদগুলো সক্রিয় বিবেচনায় রাখা দরকার।



সরকার পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরাসহ আগস্ট বিপ্লবের নায়কদের জন্য সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হলো, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭ক অনুচ্ছেদ। পুরো সংবিধান বা সংবিধানের ৭ক অনুচ্ছেদ এখনো বাতিল বা স্থগিত হয়নি। ফলে ৭ক অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা সরকার পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ সংঘটিত করেছেন এবং তারা ওই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার উপযুক্ত। ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ১২৪ক ধারা অনুযায়ী, রাষ্ট্রদ্রোহিতার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সুতরাং, আওয়ামী লীগ যদি পুনরায় ক্ষমতায় আসে, তাহলে ওই ব্যক্তিদের প্রত্যেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন, তা সুনিশ্চিত। যদি বিএনপি বা অন্য কেউ ক্ষমতায় আসে এবং তারাও যদি উক্তরূপ শাস্তি দিতে চায়, তাও আইনানুগভাবে পারবে, যদি না সংবিধান যথোপযুক্তভাবে সংশোধন বা নতুন সংবিধান রচনার মাধ্যমে যথোপযুক্ত রক্ষাকবচ প্রদান না করা হয়। সংবিধান সংশোধন বা নতুন সংবিধান রচনা বা অন্য কোনো আইনের মাধ্যমে উক্তরূপ রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করতে গেলে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক তা অধ্যাদেশ প্রণয়নের মাধ্যমে করতে হবে। সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অধ্যাদেশের আয়ুষ্কাল সংসদের প্রথম অধিবেশনের দিন থেকে ৩০ দিন। যদি ওই সময়ের মধ্যে অধ্যাদেশটি সংসদে পাশ না হয় বা সংসদ কর্তৃক বাতিল করা হয়, তাহলে তা অকার্যকর হয়ে যাবে। সুতরাং, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের রক্ষাকবচ এবং সরকারের সব কাজকর্মের বৈধতার জন্য পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সদিচ্ছা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও