যে উপায়ে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদা দেয়া যায়

প্রথম আলো মাসুদ খান প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৭

দুই বছর ধরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার দুটি প্রধান উৎস হলো রপ্তানি ও রেমিট্যান্স।


যদিও আমরা রপ্তানি বৃদ্ধিতে সব সময়ই মনোযোগী ছিলাম, কিন্তু আমরা রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে অনেকাংশে উপেক্ষা করেছি।


গত অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো। যদি আমরা প্রায় ৫০ শতাংশ মূল্য সংযোজন বিবেচনা করি, নিট বৈদেশিক মুদ্রার আয় প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।


অন্যদিকে চলমান প্রেক্ষাপট বিচার করলে এ বছর রেমিট্যান্স ২৭ থেকে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে হতে পারে।


যদিও আমরা ‘ক্যারট অ্যান্ড স্টিক’ ম্যানেজমেন্ট থিওরি অনুযায়ী যে বিষয়টাতে অধিক মনোনিবেশ করা দরকার, সেটা করি না। যখন রেমিট্যান্স আসে, আমাদের ফোকাস মুখ্য জায়গাটা থেকে সরে গিয়ে গৌণ দিকে বেশি থাকে। আমরা হুন্ডির মতো অনানুষ্ঠানিক রেমিট্যান্স চ্যানেলগুলোকে ব্যাপকভাবে আঁকড়ে ধরেছি, যখন অফিশিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে প্রেরিত রেমিট্যান্সে শুধু ৬ শতাংশ প্রণোদনা প্রদান করছি, যা কাম্য নয়।


আনুষ্ঠানিক উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের ব্যাংক এবং লাইসেন্সপ্রাপ্ত রেমিট্যান্স হাউসের দ্বারস্থ হতে হয়। একজন অদক্ষ শ্রমিকের কথা চিন্তা করুন, যিনি দুবাইতে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছেন। হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে ক্লান্ত মানুষটি বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে এক্সচেঞ্জ হাউসের জটিল ও আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় না গিয়ে একটি হুন্ডি অপারেটরকে শুধু একটি ফোন কল করে বিনিময় হারে সম্মত হন এবং দেশে পরিবার–পরিজনের কাছে টাকা পাঠান। তিনি এটি করেন আনুষ্ঠানিক চ্যানেলগুলোকে সম্পূর্ণভাবে বাইপাস করে।



মাসলোর চাহিদা তত্ত্ব অনুযায়ী, শারীরিক ও নিরাপত্তা চাহিদার পর মানুষ সামাজিক, আত্মমর্যাদা ও পরিপূর্ণতার চাহিদার দিকে ধাবিত হয়।


দুর্ভাগ্যবশত, আমরা প্রবাসীদের জন্য এই উচ্চতর চাহিদাগুলো যথাযথভাবে পূরণ করার মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সঙ্গে প্রায়শই খারাপ আচরণ করা হয়। বিমানবন্দর কিংবা বিদেশি দূতাবাস, কোথাও তাঁদের প্রাপ্য সম্মানটুকু আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি। দেশের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা একপ্রকার উপেক্ষিত।


সম্প্রতি আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টিকে সময়োপযোগীভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ভিআইপি হিসেবে গণ্য করা উচিত। এ ক্ষেত্রে আমি একটি দ্বৈত কৌশল প্রস্তাব করতে চাই, যা স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে তাঁদের আত্মমর্যাদা, সম্মান এবং একাত্মতার অনুভূতিকে সমুন্নত রাখতে পারে।


স্বল্প মেয়াদি সমাধান


১. একটি ‘ওয়েজ ওনার্স এলিট ক্লাব’ প্রবর্তন করা


স্বল্প মেয়াদে সরকারের উচিত একটি ‘ওয়েজ ওনার্স এলিট ক্লাব’ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে প্রবাসীদের বিগত বছরে পাঠানো রেমিট্যান্সের ভিত্তিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে তালিকাভুক্ত করা হবে। সদস্যপদটির স্তরগুলো হবে প্ল্যাটিনাম, গোল্ড, সিলভার ও ব্রোঞ্জ। প্রতিটি স্তরের আলাদা সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা থাকবে।


২. ভিআইপি বিমানবন্দর পরিষেবা


এলিট ক্লাবের সদস্যদের জন্য আলাদা ইমিগ্রেশন এবং চেক-ইন কাউন্টার স্থাপন করা হবে। আগমন ও প্রস্থানের সময় কার্ডধারীদের সরকারি খরচে বিমানবন্দরে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হবে। যাঁর যাঁর ক্যাটাগরি অনুযায়ী সেবা দেওয়া হবে, যেমন প্রাইভেট কার কিংবা বাস দিয়ে এয়ারপোর্ট পিকআপ, ড্রপের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও