সাবেক সোভিয়েত অঞ্চলে আবার রাশিয়াপ্রীতি কেন বাড়ছে

প্রথম আলো স্টেফান ওলফ প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৪

বিরামহীন বিমান হামলায় রাশিয়া যখন ইউক্রেনের শহরগুলো গুঁড়িয়ে দিচ্ছে এবং দনবাস যুদ্ধ ফ্রন্টে তাদের স্থলবাহিনী অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে, তখন পূর্ব জার্মানির দুটি প্রদেশের নির্বাচনে উগ্র ডানপন্থী ও উগ্র বামপন্থী দুটি দলের সমর্থন বেড়েছে।


সুনির্দিষ্ট উদ্বেগের জায়গাটি হলো, দুটি দলই ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়ার বিরোধিতা করে এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনকে সমর্থন দেয়। রাশিয়াকে প্ররোচনা দেওয়ার জন্য তারা বেশির ভাগ সময় পশ্চিমকে দোষারোপ করেছে এবং এই ভয়কে সব সময় উসকে দিয়েছে যে মস্কোর সঙ্গে পশ্চিমের সরাসরি সামরিক সংঘাত বেধে যেতে পারে।


এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভোটে সাফল্য শুধু সাবেক পূর্ব জার্মানির ক্ষেত্রেই একমাত্র উদাহরণ নয়। মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের যে দেশগুলো একসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণে ছিল, সেসব দেশেও একই ধরনের মনোভাব দেখা যায়। সবচেয়ে উল্লেখ করার মতো বিষয় হচ্ছে, এর মধ্যে স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর সদস্য।



আজারবাইজান ও জর্জিয়ার মতো যে দেশগুলো একসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল, সেসব দেশেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে ভয়, বিরক্তি ও নস্টালজিয়ার মিশেলে একটা কৌতূহলজাগানিয়া অনুভূতি তৈরি হলেও তার মানে এই নয় যে তারা সোভিয়েত শিবিরে একত্র হতে চায়। কিন্তু এর মানে হচ্ছে, অঞ্চলটির অংশবিশেষে একটা মতাদর্শিক সংহতি তৈরি হয়েছে।


হাঙ্গেরিতে রুশপন্থী অবস্থান ধরে রাখার মূল ব্যক্তিটি হলেন দেশটির জনতুষ্টিবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিকতর ওরবান। ২০১০ সাল থেকে হাঙ্গেরির ক্ষমতায় থাকা ওরবান ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে যে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক আদর্শ ধারণ করতেন, সেখান থেকে তিনি সরে গেছেন। ইউরোপিয়ান কমিশন ও ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট ওরবানকে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে খাটো করার জন্য নিন্দা জানিয়েছে।


ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাসাইলাম বা আশ্রয়সংক্রান্ত আইন সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করার দায়ে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিন ওরবানকে ২২১ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে। অবশ্য এর কোনোটিই ওরবানকে পরপর চারবার জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। কিন্তু ২০২৪ সালে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার জোট ৫০ শতাংশের নিচে ভোট পায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও