ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে না তো

প্রথম আলো গওহার নঈম ওয়ারা প্রকাশিত: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:২১

বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়া রোগের বিস্তার ঘটে বনের আগুনের মতো। ডায়রিয়া ব্যবস্থাপনায় পৃথিবীর ‘রোল মডেল’ বাংলাদেশের গাছের পাতাও জানে সে কথা। তারপরও এমন বেতাল অবস্থা! ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুরে ডায়রিয়া সামাল দেওয়া ক্রমে কঠিন হয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যে ডায়রিয়ায় শিশুমৃত্যুর খবর আসতে শুরু করেছে।


ফেনীতে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আঙিনায় খোলা আকাশের নিচে রোগীরা পাটি, চাটাই, চাদর বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। একটি শামিয়ানার ব্যবস্থা কেউ করতে পারেননি। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যা ১৮টি, কিন্তু রোগী ১৪০ জন। কী আর করা?


কোথাও গাছের সঙ্গে বাঁধা দড়িতে ঝোলানো হয়েছে স্যালাইন। এক জায়গায় আট–নয় বছরের একটি মেয়েশিশু উঁচু করে ধরে রেখেছে স্যালাইন ব্যাগটি। মাটিতে মায়ের কোলে তার এক বছরের ভাইয়ের হাতে লাগানো আছে সেই স্যালাইনের সুই। বোনটি বারবার হাতবদল করেও উঁচু করে রাখছে ব্যাগটি। সকাল থেকে সে–ও কিছু খায়নি। কতক্ষণ পারবে সে স্যালাইনের ব্যাগটি ধরে রাখতে?



বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর স্রোত বাড়তে থাকে। মূলত গত ২৫ আগস্ট থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী আসা শুরু হয়েছে। তবে গত দুই দিনে তা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। সেদিন দুপুর ১২টা নাগাদ রোগীর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এটা ২ সেপ্টেম্বরের কথা।

রোগীদের অভিযোগ, ওষুধ দিচ্ছে না হাসপাতাল থেকে। তত্ত্বাবধায়ক স্বীকার করলেন ওষুধের সংকটের কথা। হাসপাতালটি বন্যায় ডুবে গিয়ে বেশ কিছু ওষুধ নষ্ট হয়েছে। এ কারণে রোগীদের কিছু ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। তবে তিনি আশাবাদী। জানালেন ‘প্রয়োজনীয় ওষুধের জন্য চাহিদা দিয়েছি। ওষুধ চলে আসবে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও