বিজেএমসির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি

প্রথম আলো সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১১:৩৯

পাট ছিল একসময় আমাদের গর্ব। পাটনির্ভর অর্থনীতি এ অঞ্চলের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু কয়েক দশক ধরে একের পর এক পাটকলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাটের সেই গৌরব অনেকটা ফিকে হয়ে গেছে। সর্বশেষ বিগত সরকার ২০২০ সালে ২৫টি পাটকল বন্ধ করে দিয়ে এ খাতে পেরেক ঠুকে দেয়। ছাঁটাই করা হয় সব শ্রমিককে। তবে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) দুই সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়ে গেছেন এখনো। তাঁদের পেছনে বেতন-ভাতা বাবদ খরচ হচ্ছে বিপুল অর্থ। এটি কোনোভাবে কাম্য নয়।


বিজেএমসির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭২ সালে। রাষ্ট্রায়ত্ত ৭৮টি পাটকল পরিচালনা করাই ছিল তাদের কাজ। একপর্যায়ে করপোরেশনটির কারখানার সংখ্যা দাঁড়ায় ৮২। তারপর হস্তান্তর, পুঁজি প্রত্যাহার ও বিক্রির পর বর্তমানে বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ৩১টি কারখানা।



এর মধ্যে ২৫টি পাটকল চালু ছিল, যা ২০২০ সালে সরকার বন্ধ করে দেয়। ২৫টির মধ্যে ২০টি কারখানা ভাড়া দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সব কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলেও এখনো বিজেএমসিতে ২ হাজার ৩৪৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তাঁদের পেছনে বেতন বাবদ খরচ হচ্ছে বছরে শতকোটি টাকার বেশি। যদিও তাঁদের বক্তব্য হচ্ছে, তাঁরা নিজ থেকে এখানে থেকে যাননি। তাঁদের রেখে দেওয়া হয়েছে।


বিষয়টি নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, শ্রমিকদের মতো বিজেএমসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও দেনা-পাওনা মিটিয়ে বিদায় করে দেওয়া যেতে পারে। করপোরেশনের আকার ছোট করে মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি ছোট আকারের অফিস নেওয়া যেতে পারে, যাঁরা করপোরেশনের সামগ্রিক বিষয় তত্ত্বাবধান করবেন।


আমরা মনে করি, তাঁর এ বক্তব্য যৌক্তিক। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।




সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও