উন্নয়নের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত কেন প্রয়োজন

প্রথম আলো ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৪

আজ ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। প্রতিবছর জাতিসংঘ ও সদস্যদেশগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে এ দিবস পালন করে থাকে। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০২৪ সালে এ দিবসের মূল প্রতিপাদ্যকে বাংলায় ভাষান্তর করেছে এভাবে, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহার করি, সাম্যতার ভিত্তিতে সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’।


বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৪-এর পরিপত্র অনুযায়ী তিনটি বার্তা রয়েছে। প্রথমত, প্রামাণ্যনির্ভর সমাধান এবং নির্ভরযোগ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্তের ব্যবহারে সহনশীল ব্যবস্থা নির্মাণের মাধ্যমে শান্তি ও সমৃদ্ধিময় ভবিষ্যৎ অর্জন করা। দ্বিতীয়ত, উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ উপকরণ যথেষ্ট উন্নত হলেও তাৎপর্যময় তথ্য ঘাটতি ও সম্ভাব্য ঝুঁকি (যেমন ভুল তথ্য উপস্থাপন বা উপাত্তের অপপ্রয়োগ) রয়েছে। তৃতীয়ত, ওই সব দেশ বা সমাজই সফল, যারা জনমানুষকে যার যার অবস্থানে, এমনকি জটিল পরিস্থিতিতেও উপাত্ত সংগ্রহে অন্তর্ভুক্ত করে।


এই প্রেক্ষাপটে অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত বলতে সবার উপাত্ত সংগ্রহকে বুঝিয়ে থাকে। তবে প্রতিনিধিত্ব, বিভাজন, পরিচিতির আন্তচ্ছেদ, একাধিক সূত্র, গোপনীয়তা ও সহযোগিতা (জনবল ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা)—এসব মূলনীতি অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্তে জড়িত। এটি ন্যায্য ও ন্যায়সংগত সমাজ নির্মাণে উপাত্তের ব্যবধান বা শূন্যস্থান পূরণ করে এবং সবাইকে দৃশ্যমান, শোনা ও গণনায় অন্তর্ভুক্ত করে।


ফলে আমরা কেবল তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের অগ্রগতি নিয়েই উদ্‌যাপন করব না, বরং উপাত্ত সংগ্রহে আত্মজিজ্ঞাসা করতে হবে, আমরা কি সঠিক প্রশ্ন করছি? উপাত্ত সংগ্রহ কি সবার জন্য নিরাপদ? কারা এখনো গণনায় ও জবাবদিহির বাইরে রয়েছে?


পরিবর্তিত বৈশ্বিক ও দেশীয় প্রেক্ষাপটে এ প্রশ্নগুলো করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ ক্ষেত্রে চিন্তার কারণও রয়েছে, জনমিতিক পরিবর্তন ও ক্রমধারা সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রদান ও তা রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে অপব্যবহার করার ঝুঁকি। ফলে অধিকতর অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সহনশীল সমাজ ও ব্যবস্থা নির্মাণে আমাদের উপাত্তের গভীরে যেতে হবে, উন্নত মানসম্মত উপাত্ত ব্যবহার ও উপাত্তের বিশ্লেষণ করতে হবে।


১৯৯৪ সালের ৫-১৩ সেপ্টেম্বর মিসরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত যুগান্তকারী জনসংখ্যা ও উন্নয়নবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে (আইসিপিডি) বিশ্ব একমত হয় যে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে মানুষ, তার অধিকার ও পছন্দ। প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার প্রবেশগম্যতায় তাৎপর্যময় উন্নতি, মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস এবং জেন্ডারসমতায় অগ্রগতি সাধনের বিষয়গুলোতে এ সম্মেলনে গুরুত্ব প্রদান করা হয়। ফলে গত ৩০ বছরে এসব ক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি ঘটেছে।


এ অগ্রগতির পেছনে যেটা চালিকা শক্তি বা নির্দেশক হিসেবে কাজ করেছে, তা হলো ‘উপাত্ত’। উন্নয়ন গতিপথে ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে অত্যাবশ্যকীয় হলো উপাত্তব্যবস্থা। এ ক্ষেত্রে উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে গত ৩০ বছরে অধিকতর সামগ্রিক ও সুনির্দিষ্ট তথ্য সরবরাহে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এটা বাংলাদেশসহ বিশ্বের দেশগুলোর উন্নয়ন পরিমাপ ও লক্ষ্য অর্জনে, মানুষের অধিকার ও পছন্দের পূর্ণতা আনয়নে ভূমিকা রাখছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও