ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘরের রাজনীতির বলি গাজার মানুষেরা

প্রথম আলো আলী রিয়াজ প্রকাশিত: ০৫ জুন ২০২৪, ১২:৪৫

গাজায় যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উপস্থাপন করেছেন ও যা গ্রহণে কার্যত আপত্তি নেই বলে হামাস জানিয়েছে, সেটা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের যে হামলার সূচনা হয়েছে, তার অবসান ঘটানোই এই যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য।


ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা এখনো আসেনি। তবে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা অপরাহ ফক স্থানীয় সময় সোমবার সকালে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে ইসরায়েল এই প্রস্তাবে রাজি আছে। কিন্তু তিনি এটাও বলেন, এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য বিস্তারিত অনেক কাজ করতে হবে। তদুপরি তাঁর ভাষায় ইসরায়েলের দুটি শর্ত অপরিবর্তিত আছে—সব জিম্মির মুক্তি ও ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হামাসের ধ্বংস।


এই বক্তব্য যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে হামাসের সঙ্গে ঐকমত্য না হওয়ার উদ্দেশ্যে যতটা করা হচ্ছে, তারচেয়ে বেশি হচ্ছে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে উগ্র দক্ষিণপন্থীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা।  ইতিমধ্যে এই ধারণা আরও দৃঢ় হয়েছে এই কারণে যে নেতানিয়াহু দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলের দেওয়া প্রস্তাবের ‘আংশিক’ বলেছেন। ইসরায়েলের একজন কর্মকর্তা এমন মন্তব্যও করেছেন, বাইডেন যাকে ইসরায়েলের প্রস্তাব বলছেন, তা ‘সঠিক নয়’।


বাইডেন গত শুক্রবার যা ঘোষণা করেছেন, তা আসলে ইসরায়েলের প্রস্তাব। এই প্রস্তাব মধ্যস্ততাকারীদের মাধ্যমে হামাসের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন। এই প্রস্তাব দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধ অবসানের ইঙ্গিত দেয় না এবং তা যে ইসরায়েলের স্বার্থের পরিপন্থী, তা–ও নয়।


কিন্তু তা সত্ত্বেও এই প্রস্তাব মেনে নিতে নেতানিয়াহুর অনাগ্রহের কারণ হচ্ছে, যেকোনো ধরনের যুদ্ধবিরতির অর্থ হচ্ছে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া যে এই যুদ্ধে ইসরায়েলের কী লাভ হলো। এই প্রশ্ন আরও বেশি করে উঠবে, কেননা এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।


ইসরায়েলের অভ্যন্তরে কয়েক মাস ধরেই এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে নাগরিকেরা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন এবং যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে জিম্মিদের ফেরত আনতে হামাসের সঙ্গে চুক্তির জন্য চাপ দিচ্ছেন। কিন্তু যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন কোয়ালিশন সরকার থেকে দক্ষিণপন্থীরা সরে যাবে। এর অর্থ হচ্ছে তাঁর সরকারের পতন।


স্মরণ করা দরকার যে ২০২২ সালে নেতানিয়াহুর সরকার আসে পূর্ববর্তী চার বছরে চারটি নির্বাচনে কোনো ধরনের শক্তিশালী কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে না পারার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে। পার্লামেন্টের ১২০ আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন কোয়ালিশনের সরকারের আসন ৬৪টি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও