ইলন মাস্কের সাফল্যের ১০টি সূত্র
বর্তমান বিশ্বে একজন অন্যতম বিখ্যাত ব্যবসায়ী ও প্রযুক্তিবিদ হলেন ইলন মাস্ক। এমন বহুগুণসম্পন্ন ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষের জুড়ি মেলা সত্যি কঠিন। অনলাইন পেমেন্ট থেকে শুরু করে ইলেকট্রিক গাড়ি ও মহাকাশ অভিযান সব ক্ষেত্রেই নিজের দূরদর্শিতা ও সুদক্ষ নেতৃত্বের পরিচয় দিয়ে আজ তিনি হয়েছেন বিশ্বনন্দিত।
তার জন্ম ১৯৭১ সালের ২৮ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার পেটোরিয়াতে। খুব অল্প বয়সেই কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি তার আগ্রহ জন্মায়। মাত্র ১২ বছর বয়সেই তিনি একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেন এবং একটি ম্যাগাজিন কোম্পানির কাছে তা প্রায় ৫০০ মার্কিন ডলারে বিক্রি করেন। ১৯৯৫ সালে ইলন মাস্ক তার ভাই কিম্বেল ও গ্রেগ কইরির সাথে মিলে জীবনের প্রথম কোম্পানির জিপ২ প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ছিল একটি সফটওয়্যার কোম্পানি, যা পরে ১৯৯৯ সালে কম্প্যাক্ট কোম্পানি কিনে নেয়।
এরপর ১৯৯৯ সালে ইলন মাস্ক একটি অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমের সূচনা করেন, যা বর্তমানে পে-পল নামে পরিচিত। ইলন মাস্কের কর্মজীবনের অন্যতম অধ্যায় ছিল স্পেইস এক্স। ২০০২ সালে তিনি এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠা করেন। অনেক কম খরচে এই মহাকাশের স্যাটেলাইট ও অন্যান্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে সফল হয়েছে স্পেইস এক্স।
অন্যদিকে টেসলা মূলত একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কোম্পানি। ২০০৪ সাল থেকে সুদক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে কোম্পানিটি সাফল্যের দিকে নিয়ে যান ইলন মাস্ক এবং ২০০৮ সালে তিনি সেই কোম্পানির সিইও পদে নিযুক্ত হন।
ব্যবসা বিনিয়োগ তথা জীবনে সফলতা লাভের জন্য ইলন মাস্কের ১০টি উপদেশ সম্পর্কে জানাব আজকের আলোচনায়, যা আপনার আমার সবার জীবন বদলে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে।
এক,
হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দেবেন না। ইলন মাস্ককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পরপর তিনবার রকেট উড়িয়ে আপনি কি ব্যর্থ হলেন? আপনার কি মনে হয়নি এবার কাজটি বন্ধ করে দেওয়া উচিত? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘কখনোই না, কারণ আমি কখনো হাল ছেড়ে দেই না এবং কাজটি করার জন্য আমি আমার পুরোটাই দিয়েছি, হয় থাকবো না হয় পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবো’। তাই বলছি, কোনো কিছু করতে শুরু করে কখনো হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত হবে না।
দুই,
ভালোবাসার কাজটি করুন। আপনি যে কাজটিই করুন না কেন আপনার সে কাজকে ভালোবাসতে হবে। এমনকি আপনি যদি সেরাদের সেরাও হন। এরপরও কিন্তু আপনার ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আপনার সেই কাজটি করা উচিত যেটি আপনি ভালোবাসেন। আর তা না হলে একসময় সবকিছু অর্থহীন মনে হবে আপনার কাছে। জীবনটা অনেক ছোট মনে হবে। যদি আপনি আপনার ভালোবাসার কাজটি করেন, তাহলে আপনি যখন কাজের মধ্যে থাকবেন না, এমনকি তখনও আপনি আপনার কাজটি নিয়ে ভাববেন। ভালোবাসা এমন এক ব্যাপার, যা আপনাকে চুম্বকের মতো টানবে। তাই কাজকেই ভালোবাসতে শিখুন।