কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: মানবজাতি কি অস্তিত্বের সংকট?

প্রথম আলো ইশতিয়াক মান্নান প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৪, ১১:৫১

ইয়ান লেকুন, জেফ্রি হিন্টন ও ইউসুয়া বেনজিও—এই তিনজনই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই জগতের দিকপাল। এআইকে আজকের জায়গায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে তাঁদের ভূমিকা অপরিসীম, সামনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ। তিনজনই ২০১৮ সালে কম্পিউটারবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারের সমতুল্য টুরিং পুরস্কার পেয়েছেন। আশা ও আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, এআই মানবজাতিকে ধ্বংস বা তাকে প্রতিস্থাপন করবে কি না, এ-ই নিয়ে তাঁদের ভাবনা দুই বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে।


গত ৫০ বছরে এআই নিয়ে কাজ করছেন এমন গবেষক ও বিজ্ঞানীদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালীদের একজন হচ্ছেন, টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক জেফ্রি হিন্টন। অধ্যাপনা ছেড়ে তিনি গুগলে যোগ দেন ২০১৩ সালে। মানুষের মগজের আদলে এআইয়ের নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরিতে জেফ্রি হিন্টনের গবেষণা ও দক্ষতা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী যে আসলে গুগল তাঁকে ও তাঁর ছাত্রদের নিলামে কিনে নিয়েছিল ‘গুগল ব্রেন’-এর জন্য (সেই নিলামের ডাকে মাইক্রোসফট, বাইদু, ডিপমাইন্ডও অংশ নিয়েছিল)।


দীর্ঘদিন এআই নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে জেফ্রি হিন্টন সব সময় বিশ্বাস করে এসেছেন যে মানুষের মগজ এআই যন্ত্রের চেয়ে অনেক উন্নত এবং এআইকে যত বেশি মানুষের মগজের মতো করার চেষ্টা করা হবে, তত উন্নতি তার হবে। কিন্তু ২০২৩ সালে এসে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা উপলব্ধি হলো। আত্মোপলব্ধিও বলা যায়। সেটি হলো, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির যে জায়গায় আমরা আজ এসে দাঁড়িয়েছি, খুব সম্ভবত তা এখনই মানুষের মগজের চেয়ে ভালো, শুধু এটাকে আরেকটু বেশি মাত্রায় সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া বাকি।


পৃথিবীজুড়ে নির্মাতারা প্রাণপণে চেষ্টা করছেন, যত বড় করে সম্ভব, একটা এআই সিস্টেম তৈরি করতে। কাজটা যে হারে এগোচ্ছে, তাতে মনে হয়, আগামী পাঁচ বছরের কম সময়ে এআই সিস্টেম ১০০ ট্রিলিয়ন কানেকশন বা আন্তসংযোগ তৈরি করে ফেলতে পারবে। একজন মানুষের মগজের প্রায় ১০০ বিলিয়ন নিউরনের মধ্যে প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন আন্তসংযোগ আছে।


আতঙ্কিত অধ্যাপক হিন্টন ২০২৩ সালে গুগলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে চাকরি ছেড়ে দেন। প্রায় সারাটা জীবন যে এআই তৈরি করতে তিনি ব্যয় করেছেন, তা নিয়ে তাঁর তীব্র অনুশোচনা জন্ম নিয়েছে এবং এআইয়ের আসন্ন বিপদ নিয়ে তিনি খোলাখুলি কথা বলতে চান, তাই চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত। তিনি মনে করছেন, এআই যে পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, তা অচিরেই মানুষের চেয়ে বেশি স্মার্ট হয়ে যাবে এবং নিয়ন্ত্রণকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।


নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অকল্পনীয় মাত্রায় তথ্য আত্মস্থ ও বিশ্লেষণ করতে হিন্টনের গবেষণাকর্ম এআইকে সাহায্য করেছে। এ কারণেই এআই এখন ছবি চিনতে পারে, ভাষা বুঝতে পারে এবং নিজে গাড়ি চালাতে পারে। তাঁর অবস্থাটা এখন দাঁড়িয়েছে অনেকটা ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের ঘটনার মতো, যে এআই তৈরিতে তিনি কাজ করেছেন, এখন তারই অতিমানবীয় ক্ষমতায় তিনি ভীত।


মানুষের ওপর এআই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটা কেমন হবে তাহলে? হিন্টন বলেন, ‘মানুষের তখন কেমন লাগবে বুঝতে হলে, একটা মুরগির বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করুন তার এখন কেমন লাগে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও