পহেলা বৈশাখ উদযাপনের গুরুত্ব
পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ধর্ম, জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি এই দিনটি পালন করে থাকেন। পহেলা বৈশাখ শুধু একটি উৎসব নয়, বরং এটি বাঙালি জাতির ঐক্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক।
পহেলা বৈশাখ বছরের প্রথম দিন। এই দিনটি নতুন বছরের সূচনা হিসেবে পালিত হয়। নতুন বছরের শুরুতে নতুন করে জীবন শুরু করার প্রতিজ্ঞা নেওয়া হয়। পহেলা বৈশাখ পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করার দিন। এই দিনটিতে আমরা গত বছরের ভুলত্রুটিগুলো ভুলে গিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করার সুযোগ পাই।
পহেলা বৈশাখ সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এই দিনে সকলে মিলে আনন্দ-উৎসব করে থাকেন। ধনী-দরিদ্র, উচ্চ-নিম্ন সকলের মধ্যে বৈষম্য ভুলে সকলে মিলে এই উৎসব পালন করা হয়।
পহেলা বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এই দিনে আমরা আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার, পোশাক, গান-বাজনা, নাচ-গান ইত্যাদির মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতি প্রকাশ করে থাকি।
প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালিরা নববর্ষ উদযাপন করে আসছে। বৈদিক যুগে 'চৈত্র সংক্রান্তি' নামে এই উৎসব পালিত হত। মধ্যযুগে 'পয়লা বৈশাখ' বা 'নববর্ষ' নামে পরিচিতি লাভ করে। তখন 'হালখাতা' নামে ব্যবসায়ীরা নতুন খাতা খুলে নতুন হিসাব শুরু করতেন। মুঘল সম্রাট আকবর ১৫৫৬ সালে 'বঙ্গাব্দ' নামে নতুন বর্ষপঞ্জি প্রবর্তন করেন। তখন থেকেই 'পহেলা বৈশাখ' রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপিত হতে থাকে।