ব্যাংক ডাকাতির নেপথ্যে কুকি-চিনের কর্মকাণ্ড যে ইঙ্গিত দেয়

ঢাকা পোষ্ট সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৫

তবে কি আমাদের পার্বত্য অঞ্চলে আবারও অস্থিরতা ফিরতে শুরু করেছে? বিষয়টি ঠিক এই রকম কিনা আমরা জানি না, তবে শঙ্কা আছে। ২ ও ৩ এপ্রিল ২০২৪ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ ব্যাংক ডাকাতি করে এই জনপদে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে। ২ এপ্রিল ২০২৪ রাতে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে ত্রাস সৃষ্টি করে ১৬ ঘণ্টা না পেরোতেই ৩ এপ্রিল ২০২৪ বান্দরবানের আরেক উপজেলা থানচির কৃষি ও সোনালী ব্যাংক থেকে দিনদুপুরে টাকা লুট করে নিয়ে যায়।


ঘটনা যা জানা গেল—২ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে হামলার সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র নিয়ে যায়। তবে ব্যাংকের ভল্ট ভাঙতে না পারায় টাকা নিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যায়। এখনো তার সন্ধান মেলেনি।


সোনালী ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির আগে ব্যাংকের পাশে অবস্থিত মসজিদের মুসল্লিদেরও কিছু সময়ের জন্য জিম্মি করে রাখে কেএনএফ সদস্যরা। সেইখান থেকেই তারাবি নামাজ পড়া অবস্থায় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন তারা বান্দরবানের আরেক উপজেলা থানচির কৃষি ও সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরপর এই রকম দুটি ঘটনাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের প্রতি কুকিদের ভয়ংকর বার্তা হিসেবেই দেখছে।


১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনার সরকারের উদ্যোগে পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসে। তবে পাহাড় যে একবারে শান্ত হয়ে গিয়েছিল তা বলা যাবে না। পার্বত্য জনসংহতি সমিতির সাথে ইউপিডিএফসহ নানা সংগঠনের আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে মাঝে মাঝেই এই জনপদ রক্তাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছিল।


আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর আছে পরিস্থিতি মোকাবিলায়। কিন্তু প্রকাশ্যে জনপদে ঢুকে ব্যাংক ডাকাতি করা, ম্যানেজার ধরে নিয়ে যাওয়া, এলাকায় নিজেদের এই রকম সশস্ত্র উপস্থিতি জানান দেওয়া স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না কোনো মহলেই।


অনেকদিন ধরেই এদের তৎপরতা সম্পর্কে শোনা যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষ করে ইউটিউবে তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের ছবিও দিয়ে যাচ্ছে তারা নিয়মিত। ফেসবুকে ছবি দিয়ে বলছে, আজকের কেএনএফ-এর বিশেষ কমান্ডো টিম-যে টিমটি দ্রুত সময়ের মধ্যে যেকোনো স্থানে হামলা চালাতে সক্ষম। কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে পাহাড়িদের এই সংগঠনটির সামরিক শাখা হিসেবে কাজ করে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)।


২০২২ সালের এপ্রিল মাসে পার্বত্য চট্টগ্রামে কেএনএফ ও এর সামরিক শাখা কেএনএ তৎপরতা শুরু হয়। সেই থেকেই আলোচনায় এই সংগঠনটি। প্রথমে ইসলামী জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগসাজশ নিয়ে, আর এখন ব্যাংক ডাকাতি নিয়ে।


রাঙামাটির সাজেকের বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, বান্দরবানের রুমা রোয়াংছড়ি, থানচি, লামা ও আলীকদম উপজেলা নিয়ে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত একটি পৃথক রাজ্য দাবি করে সর্বপ্রথম আলোচনায় আসে এই সংগঠন। তবে নিজেদের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন বলেনি কখনো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও