কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এত নদ-নদী তবু পানির পিপাসা মেটে না

বিডি নিউজ ২৪ সুরেশ কুমার দাশ প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৬

পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত হলেই নিরাপদ পানির প্রসঙ্গ আসে। কিন্তু হাজার হাজার বছর ধরে পানির প্রাপ‍্যতা নিশ্চিত হলেও নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা আসেনি। যখন আমরা নিরাপদ পানির জন‍্য ব‍্যাকুল তখন সর্বত্রই পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সম্পদের অপচয় এবং লুণ্ঠনের মানসিকতা এই সঙ্কটের কারণ। তৈরি হয়েছে পানির জন‍্য হাহাকার। এখনই নিরাপদ পানির বিষয়ে সোচ্চার হওয়া দরকার। এজন‍্য চাই সত‍্যিকার পানি ব্যবস্থাপনা। পানি ব‍্যবস্থাপনা না থাকায় ব‍্যাপক পানি থাকার পরও সংকট দিন দিন বাড়ছে। পানি ব্যবহারে কোনো নীতি নেই, পানি সম্পদ আইন থাকলেও সম্পদের মর্যাদা নেই। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৯৮ শতাংশ মানুষের আওতার মধ্যে পানির প্রাপ্যতা রয়েছে। কিন্তু পানি ব্যবহারের যে ধরন তাতে কোনো পরিকল্পনা নেই। তাই এত নদ-নদীর দেশেও ভূগর্ভস্থ পানির উপরই আমরা নির্ভরশীল। নদীর সংখ্যা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক আছে। সৈয়দ শামসুল হক তার ‘আমার পরিচয়’ কবিতায় লিখেছেন, ‘তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে?’ নদী রক্ষা কমিশন বলছে, দেশে নদ-নদীর সংখ্যা ১ হাজার ৮টি। এই সংখ্যাটি নদী নিয়ে কর্মরত সংগঠনগুলো মানতে নারাজ।


নদীর সংখ্যা নিরূপণ নয়, নদীর পানি ব্যবহার নিয়ে এই আলোচনা। পান, ব্যবহার এবং সেচের জন্য ভূ-উপরিস্থ পানি যেমন নিরাপদ নয়, তেমনি ভূগর্ভস্থ পানিও পুরোপুরি নিরাপদ নয়। অফুরন্ত পানি রয়েছে মনে করে অধিকাংশ সময় নির্বোধের মতো পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। যাতে পানির অপচয় হচ্ছে।


কৃষকের সেচে, শিল্পের ব্যবহারে কোথাও পানি ব্যবহারে আধুনিকতা ও যান্ত্রিক পূর্ণতা নেই। বিশুদ্ধ পানির অভাবে রয়েছে হাজার হাজার মানুষ। পানিবাহিত রোগের পাশাপাশি অজ্ঞতার কারণে পানির অপচয় হচ্ছে। এজন্য খাবার পানির সংকটও ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। যা তৈরি হয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট ও পানি অব্যবস্থাপনার কারণে।

অন‍্যদিকে বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির চাহিদা মেটাতে পাতালে প্রবেশ করেছি আমরা। অথচ আমাদের ভূপৃষ্ঠে যে পরিমাণ পানি রয়েছে তাতে পাতালে প্রবেশের কোনো কারণ ছিল না। পাতালে তোলপাড় করার কথা ছিল না। কিন্তু এখন পাতালেও পানি মিলছে না। তবু আমরা গভীরে প্রবেশের চেষ্টা করছি। এতে বিপন্ন হয়ে উঠছে পরিবেশ।


সঠিক ব্যবস্থাপনায় ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করা গেলে পরিবেশকে বিপন্নতার হাত থেকে কিছুটা রক্ষা করা যেত। যখন প্রযুক্তি দুর্বল ছিল তখন যেমন এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হয়নি, আজও সেটা নিয়ে খুব বেশি গরজ নেই কারও।


ঢাকা শহরে ব্যবহার হওয়া আশি শতাংশ পানিই ভূগর্ভস্থ। এই পানির ২৫% অপচয় হয়। অথচ ঢাকা শহরের চার পাশে নদী। তবু আমরা মাটির নিচের পানির সর্বনাশ করে আসছি। এর প্রধান কারণ আমাদের নদীদূষণ। কেন এই নদীদূষণ ও দখল— সেটা জানতে খুব বেশি চিন্তাভাবনার প্রয়োজন হয় না। আমরা তা শুনে আসছি। যে কারণে পরিবেশের নামে সকলে মাটির নিচের পানির জন্য হাহুতাশ করলেও কোনো লাভ হয় না। এভাবে বাংলাদেশের পরিবেশগত বিষয়গুলো আসলে অনেকটা সচেতনভাবেই অবহেলার শিকার। পরিণতি জেনে-বুঝে চোখ বুজে থাকার মতো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও