কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

অবন্তিকাদের মৃত্যু কি ঠেকাতে পারবে এই সমাজ?

ঢাকা পোষ্ট নাজনীন মুন্নী প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:০২

ঢাকার স্বনামধন্য স্কুলে পড়তাম। এসএসসির আগে নির্বাচনী পরীক্ষা হতো, যাকে আমরা টেস্ট পরীক্ষা বলতাম। সেই টেস্ট পরীক্ষায় পদার্থ বিজ্ঞানের পেলাম ৩৮। বোর্ডে ৩৩-এ পাস হলেও স্কুলে পাসের নম্বর ছিল ৪০।


একটা সময় পর্যন্ত বরাবর ফার্স্ট-সেকেন্ড হওয়া আমি ফেল করলাম। এটা ছিল বিরাট আহত হওয়ার মতো ঘটনা। আমার মা’কে ডেকে পাঠালেন শিক্ষক। বললেন তার কাছে কোচিং না করলে এসএসসিতে পাস করতে পারবো না আমি।


সবাই পাস করেছিল কেবল আমি ফেল এইজন্যই যে, একমাত্র আমি ঐ শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তাম না। ফলাফল আমি ফেল। এই ঘটনা এখনো আমার মনে আছে। ফেল করা ছাত্রীর যে মানসিক কষ্ট আর হীনমন্যতা তৈরি হয় সেই শাস্তি আমাকে দেওয়া হয়েছিল  কোনো অপরাধ ছাড়াই।


কেবল ২ নম্বরের জন্য ফেল করেছি তাতেই মনোজগতের যে পরিবর্তন হয়েছিল আমার, তা অবর্ণনীয়। আচ্ছা, যে শিক্ষক ছাত্রীর গায়ে হাত দেয় বা ছাত্রীকে খারাপ প্রস্তাব দেয় সেই মেয়েটির তখন কেমন লাগে? তার কেমন বোধ হয়? আপনারা কেউ কি ভাবতে পারছেন?


শিক্ষকের চিরচেনা চেহারাটা কি তার সামনে অদৃশ্য হয়ে যায়? সেকি সেইখানে চলতি পথের একজন ধর্ষককে দেখতে পায় যে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঝাঁপিয়ে পড়বে? সে কি দেখতে পায় শিক্ষকের চেহারার আড়ালে থাকা পিশাচের মুখ?


সেই শিক্ষকই যখন পরদিন শার্ট প্যান্ট পরা ভদ্রলোক, নীতিকথা আর নানা বিষয়ে জ্ঞানের কথা বলে তখন কেমন লাগে সেই ছাত্রীর? কেমন লাগে যখন বছরের পর বছর সেই দায় টেনে বেড়াতে হয় ছাত্রীদের, যখন একা হয়ে যেত হয় সবার কাছ থেকে?


যখন পড়াটাও শেষ করা যায় না শিক্ষকের জন্য, কেমন লাগে? তা মরে যাওয়ার আগে বলে গেছে ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। অবন্তিকার পোস্ট থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকী তার জীবন অতীষ্ট করে তুলেছিল। কেউ কি শুনেছে সেই অভিযোগ?


অবন্তিকার মৃত্যুর পরদিন আমরা জানি আরও ভয়াবহ ঘটনা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের কাজী ফারজানা মীম। সে জানিয়েছে তার কেমন লেগেছে। তার ভাষ্যমতে, একাডেমিক কাজে ২০১৯ সালের নভেম্বরে তাকে ডাকে কোর্সশিক্ষক আবু শাহেদ ইমন।


মীমের অভিযোগ, সেইখানে যৌন হয়রানির চেষ্টা করা হয়। এরপর কেটেছে ৫ বছর। সেই শিক্ষক বহাল তবিয়তে আছে। কিন্তু মেয়েটির জীবন তো শেষ। অনার্সে তাকে ফেল করানো হয়েছে। এক বিষয়ে সেই পেয়েছে ডাবল শূন্য। কোনো অনার্সে পড়া ছাত্রীর পক্ষে সাদা খাতা জমা দেওয়া ছাড়া কিছুতেই শূন্য পাওয়া সম্ভব নয়। কিছুতেই না। মেয়েটি পেয়েছে এবং স্নাতকে ফেল করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও