You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ঐতিহাসিক ৭ মার্চ: কালজয়ী এক ভাষণ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণটি আজ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি পেয়েছে। ওই ভাষণ যেমন ছিল উদ্দীপনামূলক, তেমনি ছিল দিকনির্দেশনামূলকও। একটি বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁকে ওই ভাষণ দিতে হয়েছিল। ভাষণে একদিকে ছিল জাতির চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে স্বাধীনতার মন্ত্রণা, আবার কেউ যেন তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত করতে না পারে, সেদিকে নজর রেখে ভারসাম্যমূলক শব্দ চয়ন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৯২০-১৯৭৫) স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি। তাঁর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো কি না, বলা মুশকিল। তিনি মানুষের মধ্য থেকে উঠে আসা একজন নেতা। তিনি সারা জীবন লড়েছেন বঞ্চনা-বৈষম্যের বিরুদ্ধে। পরাধীন বাঙালি জাতিকে তিনিই দেখিয়েছিলেন স্বাধীনতার স্বপ্ন। শুধু স্বপ্নই দেখাননি, সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়ে বিশ্বসভায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন অসংখ্য ভাষণ দিয়েছেন। কিন্তু যে ভাষণ দিয়ে তিনি নিপীড়িত বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা অর্জনে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, সেই ভাষণ তিনি দিয়েছিলেন ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে। মাত্র আঠারো মিনিটের জ্বালাময়ী ভাষণ শুধু সেদিনের মুক্তিপাগল মানুষকেই মুক্তির জন্য উদ্বুদ্ধ করেনি, পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সামরিক কর্মকর্তা মেজর জিয়া, মেজর সফিউল্লাহসহ সবাই স্বীকার করেছেন যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল তাঁদের কাছে গ্রিন সিগন্যাল। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু একাত্তরের প্রেরণা ছিল না, পরবর্তী সময়ে নতুন প্রজন্মকেও দারুণভাবে নাড়া দেয়।

এ প্রসঙ্গে দুটি ঘটনার কথা আমার মনে পড়ে। প্রয়াত জাসদ নেতা মইনউদ্দিন খান বাদলের ছেলে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে এতটাই আবেগতাড়িত হয়ে গিয়েছিল যে সে তার বাবাকে (মইনউদ্দিন খান বাদল) বলেছিল, ‘বাবা, তোমরা কি এই লোকটার বিরুদ্ধে গিয়ে নতুন দল জাসদ করেছিলে? আই হেট টু টক টু ইউ ফাদার’—এ কথার সত্যতা জানার জন্য আমি বাদলের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, ঘটনাটা সত্য। প্রয়াত সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্তের লেখায়ও এ ঘটনাটি পড়েছিলাম।

আরেকটি ঘটনাও ঠিক একই রকমের। আমাদের বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনে আনান নামের এক কিশোর মাঝে মাঝে আসে। সে ভালোবেসে আমাকে ‘বন্ধু’ বলে ডাকে। একদিন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনে সে তার মাকে বলে, ‘মা, জানো বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে আমার রক্ত গরম হয়ে যায়; আমার গায়ের লোম খাড়া হয়ে ওঠে।’ যে ভাষণের সংগ্রামী বাণী নাবালক শিশুকেও আলোড়িত করে, সেই ভাষণ পরাধীন মানুষকে শিকল ভাঙার শক্তি জোগাবে—এটাই তো স্বাভাবিক।

বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনগণের নেতা। তিনি মানুষের দুঃখ-কষ্ট বুঝতেন বলেই তাদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছিলেন। কয়দিনের রাজনৈতিক অস্থিরতায় যেসব সাধারণ মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের কথা মনে ছিল বলে বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত লোক শহীদ হয়েছে, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, আমরা আওয়ামী লীগের থেকে যদ্দূর পারি তাদের সাহায্য করতে চেষ্টা করব। যাঁরা পারেন আমার রিলিফ কমিটিতে সামান্য টাকাপয়সা পৌঁছিয়ে দেবেন। আর এই সাত দিন হরতালে যে সমস্ত শ্রমিক ভাইয়েরা যোগদান করেছেন, প্রত্যেকটা শিল্পের মালিক তাঁদের বেতন পৌঁছায়ে দেবেন।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন