কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের গালগপ্পো গেল কোথায়?

ঢাকা পোষ্ট রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রকাশিত: ০১ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৪

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৩৪ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা বাড়বে। বিদ্যুতের নতুন এই দর ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ (ঢাকা পোস্ট, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪)।


বিদ্যুৎ নিয়ে সরকার সরাসরি জনগণের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের গালগপ্পো এতদিন ধরে জনগণ শুনে আসছে। একই সাথে এটাও শুনে আসছে যে এই খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির নামে জনগণের টাকা কোনো কোনো ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। কমিশন ভোগীরা তো আছেই।


স্বল্পমূল্যে নিরবচ্ছিন্ন লোডশেডিং মুক্ত বিদ্যুতের দাবি দীর্ঘদিনের। আমাদের সংবিধানেও বিদ্যুৎ প্রাপ্তির অধিকারের কথা বলা আছে। অতীতের সরকার এই বিদ্যুৎ উৎপাদনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বর্তমান সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করেছে এটা ঠিক।


বাস্তবতা হলো এর আগের সরকার বিদ্যুৎ কেন্দ্র না করে খাম্বা তৈরি করেছিল। এর জন্যে বিদ্যুৎ না পেয়েও জনগণের টাকা গুনতে হয়েছিল। আর এবার সরকার বিদ্যুৎ কেন্দ্র করলেও এইসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যথাযথভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে না, করতে পারছে না। বসিয়ে রাখা হচ্ছে। এক্ষেত্রেও জনগণের টাকা গচ্চা যাচ্ছে।


আমরা এবং দেশের জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছিলাম যে, দেশের মানুষের বাস্তবতা বিবেচনা করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ স্বল্প মূল্যে দেওয়ার জন্য দেশপ্রেমিক অবস্থান থেকে পরিকল্পনা করেই এগোতে হবে। এজন্য আমরা আমাদের দেশের গ্যাস সম্পদের ওপর নির্ভর ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর নির্ভর করেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলেছিলাম। 


এমনকি এই বিষয়ে আমাদের খসড়া প্রস্তাবনা আমরা হাজির করেছিলাম। সরকার সেই দিকে কর্ণপাত করেনি। বরং এক্ষেত্রে বিশেষ আইন প্রণয়ন করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো করা হয়েছে। যা বিদ্যুৎক্ষেত্রে দায়মুক্তি আইন বলে পরিচিতি পেয়েছে।


দেশের গ্যাস সম্পদ ব্যবহারের যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারেও পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং আমদানির ওপর নির্ভর করা হয়েছে।


আমরা সাধারণ ভাষায় বলেছিলাম, সরকারের এই ভুলনীতি এবং বিশেষ আইন জারি করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরিতে যে দুর্নীতি তৈরি হচ্ছে তা ভবিষ্যতে জনগণকে ভোগাবে। ওই সময় আমাদের এটাও শোনানো হয়েছিল যে এখন বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, পরে দাম কমবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও