পৃথিবীর সবচে’দীর্ঘস্থায়ী বই মহোৎসব

জাগো নিউজ ২৪ ড. মো. ফখরুল ইসলাম প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৪

যতদূর জানা যায়, এ পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে যতগুলো বইমেলা আয়োজিত হয়েছে তার মধ্যে আকারে সবচে’ বড় হলো ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা। এটা জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে বিশ্বের ৭৭টি দেশের ৬,১৬৯ টি প্রকাশক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছিল। সেটা ছিল ১০-১৪ অক্টোবর, ২০১৭। কিন্তু ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা মাত্র পাঁচ দিন ব্যাপী স্থায়ী হয়।


বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত একুশে বই মেলাও অনেক বড়। মেলার আকার বেড়ে বাংলা একাডেমী চত্ত্বর পেরিয়ে গেছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইয়ের স্টল তৈরির অনুমতি দিতে হয়েছে। তবুও আকারে অনেক দেশের বইমেলার চেয়ে একুশে মেলা এখনও ছোট। কিন্তু সময়ের বিচারে আমাদের একুশে মেলাকে পৃথিবীর কোনো দেশের বইমেলা আজ পর্যন্ত আমাদেরকে ছোট করতে পারেনি। মাতৃভাষার ওপর লেখা বই নিয়ে মাসব্যাপী বা এত দীর্ঘ সময়ব্যাপী ঘটা বইমেলা পৃথিবীর আর কোনো দেশে হতে দেখা যায় না! এই দীর্ঘমেয়াদী বইমেলা আমাদের একান্ত অর্জন। এই বইমেলা আমাদের সবার গৌরবের বিষয়!


আসুন, সারা পৃথিবীতে প্রতিবছর যতগুলো বইমেলা আয়োজিত হয়ে থাকে সেগুলোর প্রধান কয়েকটি থেকে অনুষ্ঠানের দিন-সময়ের কিছু তথ্য জেনে নিই।

































































বইমেলার নামদেশের নামপ্রতিবছর অনুষ্ঠানের তারিখমোট দিনের সংখ্যা
আস্তানা বুক ফেয়ারকাজাখাস্তান২৫ এপ্রিল- ০১ মে০৭ দিন
আলেকজান্দ্রিয়া বুক ফেয়ারমিশরমার্চ ২২- এপ্রিল ০৪১৪ দিন
ইস্তাম্বুল বুক ফেয়ারতুরস্কনভেম্বর ১০- নভেম্বর ১৮০৯ দিন
একুশে বই মেলাবাংলাদেশফেব্রুয়ারি ০১-ফেব্রুয়ারি ২৯+এক মাস + ৪/৭ দিন
কোলকাতা বই মেলাভারতজানুয়ারি ৩০- ফেব্রুয়ারি ১৩১৪ দিন
ক্যাসাব্লাঙ্কা বুক ফেয়ারমরক্কোফেব্রুয়ারি ০৮- ফেব্রুয়ারি ১৮১০ দিন
ব্রাসেলস বুক ফেয়ারবেলজিয়ামফেব্রুয়ারি ২২- ফেব্রুয়ারি ২৫০৪ দিন
বোলোগনা বুক ফেয়ারইতালিমার্চ ২৬- মার্চ ২৯০৪ দিন
ব্যাঙ্কক বুক ফেয়ারথাইল্যান্ডমার্চ ২৬- এপ্রিল ০৯১৫ দিন

সূত্র:  ইন্টারনেট।


উল্লিখিত সারা বিশ্বের প্রধান কয়েকটি বইমেলা অনুষ্ঠানের দিন-সময়ের কিছু তথ্য থেকে জানা যায় কেউই কুড়ি দিনের বেশি বইমেলা চালাতে পারেননি। অথচ, বংলাদেশ একমাসের অধিক সময়ব্যাপী বইমেলার আয়োজন করে সেটা দেখাতে পেরেছে।


বাংলাদেশে ঢাকায় অনুষ্ঠিত একুশে বইমেলা দীর্ঘদিনব্যাপী জনপ্রিয়তার মধ্যে চলতে থাকার কারণ নানামুখী। আমাদের ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারি শুরু হয় বইমেলার উদ্বোধনী দিয়ে। বাংলা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, তাঁদের অমূল্য ত্যাগ-তিতিক্ষার স্মরণ ও বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার চিরন্তন বহিঃপ্রকাশ ঘটে একুশে বইমেলার মাধ্যমে।


বাঙালির বইয়ের প্রতি প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও বই পড়ার প্রতি আগ্রহ ও ভালোবাসা থেকে ফিবছর দিন গুনতে থাকে- কবে শুরু হবে একুশে বইমেলা। বইমেলায় সবাই শুধু একদিন ঢুঁ মেরেই ক্ষান্ত দেন না বরং এই এক মাসের মধ্যে একই ব্যক্তি বহুবার মেলায় যান। বইমেলায় যাওয়া নেশায় পরিণত হয়।


বইমেলায় সবাই শুধু নিজের জন্যে বই কেনেন না। কেউ তাকিয়ে তাকিয়ে সাজানো বই দেখেন, কেউ বক্তৃতা শোনেন, লেখক কুঞ্জে আড্ডা দেন, রক্ত দান করেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শোনেন, পাঠক-দর্শকদের সাথে মত বিনিময় করেন, কেউ বই কিনে প্রিয়জনদের উপহার দেন। বই মেলায় সব বয়সী মানুষের চাহিদা উপযোগী বই কিনতে পাওয়া যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও