পাকিস্তানে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন সেটাও বলে দেবেন সেনাপ্রধান!

প্রথম আলো পাকিস্তান সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০৩

৭৬ বছর বয়সী পাকিস্তানে অর্ধেক সময় কেটেছে সরাসরি সামরিক শাসনে। কিন্তু জনগণের ভোটে নির্বাচিত কোনো প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ পূরণ করতে পারেননি। বরং অবিভক্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন সোহরাওয়ার্দীসহ বেশির ভাগকে জেল খাটতে হয়েছে ক্ষমতাচ্যুতির পর।


পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান ১৯৫১ সালে বন্দুকধারীর হাতে নিহত হন, আরেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে বিতর্কিত বিচারের নামে ফাঁসি দেওয়া হয় ১৯৭৯ সালে। এরপর আশি ও নব্বইয়ের দশকে পিপলস পার্টি ও মুসলিম লিগ নওয়াজ ক্ষমতার মিউজিক্যাল চেয়ার ভাগাভাগি হলেও নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি ছিল সেনাবাহিনীর হাতে।


২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় মুসলিম লিগ নেতা নওয়াজ শরিফ জেলে ছিলেন, পরবর্তীকালে তাঁকে বহু বছর লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয় সেনাবাহিনীর বিরাগভাজন হওয়ার করণে। এবার ঠিক উল্টোটা ঘটেছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে ইমরান খান আস্থা ভোটে হেরে গিয়ে ক্ষমতা হারান, যার পেছনে সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল।


২০১৮ সালের নির্বাচনে ইমরানের দল পিটিআইএর প্রতি সেনাবাহিনীর প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল। কিন্তু ক্ষমতায় এসে ইমরান বেসামরিক বিষয়ে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করলে দুই পক্ষের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ইমরানের পদত্যাগের পর মুসলিম লিগ-পিপিপির কোয়ালিশন সরকার গঠনের নেপথ্যেও সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল বলে মনে করেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।


এরপর দ্রুত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে যায়। গত বছর আগস্টে একটি মামলায় ইমরানকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। সে সময়ে সামাজিক মাধ্যম এক্সে তিনি নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমার শুধু একটাই আবেদন, নীরবে ঘরে বসে থাকবেন না।’ তাঁরা কেউ ঘরে বসে থাকেননি।


এ পর্যন্ত ইমরানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয় এবং তিনটিতে কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যার উদ্দেশ্য তাঁকে নির্বাচনের বাইরে রাখা। তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ক্ষমতাসীনেরা এই কৌশল অবলম্বন করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও