মুখে আর কত চুনকালি পড়লে...

প্রথম আলো আনিসুল হক প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১০

ছাত্রলীগ খবরের শিরোনাম হরহামেশাই হয়, আবারও হলো। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খবরের শিরোনামে জায়গা পেল। খবরে এসেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছেন ছাত্রলীগ নেতা ও তাঁর বহিরাগত বন্ধু । ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী।


বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে এই ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে। অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে। পুলিশ ও র‌্যাব প্রধান দুই অভিযুক্ত তাদেরকে সহযোগিতার অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ধর্ষণে ছাত্রলীগের সদস্যদের যুক্ত থাকা এবং ধর্ষণবিরোধী ব্যাপক আন্দোলনও এইবার প্রথম ঘটল না।


এর আগে এই ধরনের ঘটনা নব্বইয়ের দশকে ঘটেছিল, আমাদের সবার মুখে চুনকালি পড়েছিল, ছাত্রলীগের একজন নেতার সম্পর্কে এই রকমের অভিযোগ ছড়িয়েছিল যে, তিনি ধর্ষণের সেঞ্চুরি করেছেন এবং সে উপলক্ষ উদ্‌যাপন করেছেন। প্রবল আন্দোলনের মুখে তিনি বিদেশ চলে যান।


২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজের সামনে থেকে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। ওই তরুণী তাঁর স্বামীর সঙ্গে একটি গাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। স্বামীকে গাড়িতে আটকে রাখা হয়। পরে কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে গিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। মেয়েটির আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকেরা এগিয়ে আসে। পরে মামলা হয়। গ্রেপ্তার হয়। এই মামলার রায় এখনো হয়নি। বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে (৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪):


‘এই ঘটনায় এমসি কলেজের আটজন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অভিযোগ গঠন করে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। ঘটনার পর ডিএনএ পরীক্ষা করে চার আসামির সঙ্গে ডিএনএ ম্যাচিং পাওয়া যায়। সে সময় চাঞ্চল্যকর মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য গঠিত জেলা মনিটরিং কমিটি মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ না থাকায় ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামী হাইকোর্টে রিট করেন। পরে ওই বছরেরই ১৫ই ডিসেম্বর মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলি করতে আদেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু মামলা স্থানান্তর করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখনো গেজেট জারি করা হয়নি।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও