কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : জিন্দাবাদ আর সিন্দাবাদ

ঢাকা পোষ্ট মানস চৌধুরী প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৮

একবার অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ এক দৌহিত্র গাল ফুলিয়ে গালাগালি করেছিলেন জিন্দাবাদওয়ালাদের নিয়ে। তার বক্তব্য ছিল, বাংলাদেশে যারা ‘জিন্দাবাদ’ বলেন তারা নাকি পাকিস্তানের দালাল। জিন্দাবাদ উর্দু থেকে এসেছে এই আন্দাজ থেকেই তার এই গালাগাল। লোকজন বুঝেছিলেন যে তিনি জিন্দাবাদের উৎস জানলেও, আওয়ামী শব্দের উৎস জানেন না, মানে তখন অবধি জানতেন না অন্তত। তার এই বিচিত্র ভাষাজ্ঞান নিয়ে বেশ হাসিঠাট্টা হয়েছে। তবে তার (ও আমাদের) কপাল ভালো যে অত লোকের মনে নেই। তার কপালের কথা বলছি কারণ এত বড় দৌহিত্র হিসেবে এই ভাষাজ্ঞানের পরিচয় দেওয়া আসলেই একটু ইয়ে ধরনের। আমাদের কপাল ভালো বলছি কারণ এত বড় মানুষকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করে মামলা-টামলা হতে পারত।


যাই হোক, এটা মনে পড়ল বলেই বলা। জাহাঙ্গীরনগরের জিন্দাবাদওয়ালাদের নাম মোটামুটি জাবিয়ান বা জানবিবি। কে বা কারা এই নাম দুটোর প্রবর্তন ঘটিয়েছিলেন তা জানি না। তবে আমার দুটো নামেই কোনো আবেগ সঞ্চারিত হয় না। এবং আমার বেশ আনস্মার্ট লাগে। একথা অস্বীকার করব না যে, যেকোনো আবেগপ্রবণতাই আমার আচ্ছা মতো আনস্মার্ট লাগে।


বাস্তবে কোনো পরিচয় নিয়েই আমার ভাবালুতা কাজ করে না। বিশ্বাস করুন, আমার কী লাগে আর কী লাগে না তা নিয়ে আপনাদের শাসন করার কোনোই ইচ্ছা নেই। কিন্তু এই জাবিয়ান ও জানবিবিওয়ালাদের বিভিন্ন জরুরি বিষয়ে ঘাপটি মেরে থাকা আর দরকার মতো ‘কে কোথায় আছে’ মার্কা প্রচারণা দেখলে মাথা কিড়বিড় করতে থাকে। ওটুকুই বললাম আরকি।


জাহাঙ্গীরনগরে সাম্প্রতিক ধর্ষণকাণ্ডে এই পক্ষেরই একটা বড় অংশ শরম পেয়েছেন। শরম তো পাবারই কথা। কিন্তু অনেকের শরমটা এইরকম ‘লোকের কাছে মুখ দেখাব কীভাবে!’ অতি ন্যায্য কথা! কীভাবে মুখ দেখাবেন? কিন্তু প্রশ্ন আছে ভাই জাবিয়ান!


যখন কতগুলো ‘বীরপুরুষ’একটা ব্যবস্থার মধ্যে প্রতিপালিত হয় তখন শরমটা কী নিয়ে? ওই ‘বীরপুরুষ’দের কর্মকাণ্ড নিয়ে? নাকি ওই ‘বীরপুরুষ’রা কীভাবে দিনের পর দিন প্রতিপালিত হচ্ছে একটা প্রশাসনিক ব্যবস্থার ছত্রছায়ায় তা নিয়ে? আপনাদের শরম যদি পরেরটা নিয়ে হতো, তাহলে তো দু-চারটা পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবতে পারতেন।


তাহলে তো সারাবছর ধরেই আপনার ‘প্রাণপ্রিয়’ প্রতিষ্ঠানের গভর্ন্যান্স/শাসন প্রণালী নিয়ে দু-চারটা মতামত দিতে পারতেন। কিছুই যদি করার না থাকত, অন্তত আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বা চিন্তার ফ্রেমওয়ার্কটা তৈরি থাকত। এখন যখন শরম শরম করেন, তখন মনে হয় কম্বলের নিচে চাপাপড়া থাকলে আপনাদের লজ্জা-মিটার ঠিকঠাক কাজ করে। যেই না কম্বলটা উদলা হয়ে সিস্টেম বেরিয়ে পড়ে, অমনি আপনার লজ্জা-মিটার চাড়া দেয়। আপনাদিগকে বরং ধিক্কার জানাই!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও