দেশের রাজনৈতিক সংকট যেখানে

ঢাকা পোষ্ট কামরুল হাসান মামুন প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৯

আমি যখন স্কুল, কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তখনকার চলচ্চিত্র জগতের পরিচালক ও অভিনয় শিল্পীদের প্রায় কাউকেই রাজনীতিতে দেখিনি। তারা তাদের জগৎ নিয়েই থাকতো। তাদের কাউকে কখনো ট্রাকে করে ঘুরে ঘুরে কোনো দলের হয়ে কিংবা কোনো ব্যক্তির হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামতে হতো না। এই চিত্র আমি দেখিনি।


তখনকার শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক কিংবা ব্যবসায়ীদের কাউকে রাজনীতি করে এমপি মন্ত্রী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করতে দেখিনি। তখনকার সেরা শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী ছিলেন ইসলাম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুল ইসলাম যিনি কোনোদিন রাজনীতি করেননি। সব দলকেই টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করেছেন।


ছোটবেলায় দেখতাম সরকারি কর্মকর্তাদের আয়োজনে কোনো সভা ডাকলে দলমত নির্বিশেষে এলাকার সব গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হতো। প্রশাসন তখনো রাজনীতিকরণ হয়নি।


আমাদের শিক্ষকদের কাউকে তেমন রাজনীতি করতে দেখিনি। যারা করতেন তারা আদর্শের জন্য করতেন। ক্ষমতা কিংবা অর্থের জন্য কাউকে রাজনীতি করতে দেখিনি। কিন্তু এখন যখন দেখি, টক-শোতে গিয়ে শিক্ষকরা মিথ্যা কথা আর দলবাজি করে তখন বোঝা যায় রুচির দুর্ভিক্ষ আর অনৈতিকতা আজ মহামারি আকার ধারণ করেছে।


অভিনেতার অভিনয় ক্যারিয়ার শেষ হয়নি কিন্তু এমপি হওয়ার লটারির টিকেট কিনছেন, খেলোয়াড়ের খেলার ক্যারিয়ার শেষ হয়নি কিন্তু এমপি হওয়ার লটারির টিকেট কিনছেন, ব্যবসায়ীর ব্যবসার ক্যারিয়ার এখনো পুরোদমে শুরুই হয়নি কিন্তু এমপি হওয়ার লটারির টিকেট কিনছেন, শিক্ষকের ভিসি হওয়ার মেয়াদ শেষ হয়নি কিন্তু এমপি হওয়ার লটারির টিকেট কিনছেন, সাধারণ শিক্ষকের শিক্ষকতার ক্যারিয়ার এখনো শুরুর দিকে কিন্তু এমপি হওয়ার লটারির টিকেট কিনছেন।


সবাই লটারির জ্যাকপট পাওয়ার জন্য হন্যে হয়ে ছুটছেন। সবাই ট্যাক্সফ্রি গড়ি পেতে চান, অন্যায় করে মাফিয়া লিডার হতে চান, দ্রুত অর্থ ক্ষমতা পেতে চান। লজ্জাহীন ও বিরামহীনভাবে ছুটছেন এই মোহের পেছনে। এদের কাছ থেকে কী আশা করা যায়?


শুধু এদের কেন, কোন এমপি, কোন মন্ত্রণালয় পেলেন তাতে কি কিছু আসে যায়? সবাই তো সবকিছু করবেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই। সেই নির্দেশ কবে আসবে সেই পর্যন্ত তারা বসে থাকেন। যেন নির্দেশ না আসলে তারা কিছুই করতে পারেন না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও