মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই হোক আসন্ন মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য

বণিক বার্তা আনোয়ার ফারুক তালুকদার প্রকাশিত: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৭

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের টানা নয় মাস দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে ছিল। শুধু খাদ্য মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে তা ১২ শতাংশের কাছাকাছি বা ওপরে হবে। এ অবস্থা বিবেচনায় ২০২২ সালের ১০০ টাকার পণ্য কিনতে ২০২৩ সালে ভোক্তার ব্যয় করতে হয়েছে ১০৯ টাকা। ভেবে দেখা দরকার, সেই অনুপাতে মজুরি বেড়েছে কত টাকা। মানুষের জীবনযাপন ব্যয়কে ২০২২ সালের মতো রাখতে চাইলেও ২০২৩ সালে কমপক্ষে ৯ ভাগ মজুরি বৃদ্ধি দরকার ছিল। কিন্তু বাস্তবে কি তা হয়েছে? যেকোনো দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনার মূল কাজ করে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সরকারের ব্যাংক বলা হয়ে থাকে।


বাংলাদেশ ব্যাংক হলো আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এ ব্যাংকের একটি রুটিন কাজ হচ্ছে মুদ্রানীতি প্রণয়ন। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে থাকা মূল অস্ত্র হচ্ছে মুদ্রানীতির কার্যকর ব্যবহার অর্থাৎ অর্থনীতির সাধারণ নিয়মে নীতি সুদহার বাড়িয়ে বা কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কাজটি করতে হয়, কিন্তু আমাদের কাছে অনেক দিন এটি অকার্যকর ছিল। এ কাজটি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি বিভাগ। প্রতিটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হচ্ছে এটি। আমাদের এখানে আগে শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা এ মুদ্রানীতি প্রণয়ন কমিটিতে ছিলেন। এবারের কমিটিতে বাইরে থেকে আরো তিনজনকে রাখা হচ্ছে। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মুদ্রানীতি প্রণয়ন কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গভর্নরসহ মুদ্রানীতি বিভাগের ডেপুটি গভর্নর, প্রধান অর্থনীতিবিদ ও নির্বাহী পরিচালক থাকবেন।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরে থেকে কমিটিতে থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) একজন প্রতিনিধি। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়ের মুদ্রানীতি নতুন কমিটির মাধ্যমেই হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৫ জানুয়ারি চলমান প্রান্তিকের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। এবার মুদ্রানীতিতে অবশ্যই আগেরকার মুদ্রানীতির চাইতে নতুন কিছু পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। আসন্ন মুদ্রানীতি নিয়ে অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার, উদ্যোক্তা, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীদের কাছে মতামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। অনেকেই প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মতামত প্রকাশ করছেন। এবারের মুদ্রানীতিতে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ আছে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও