কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রাজনীতি ভুল পথে চলছে, সামনে ভালো কিছু দেখি না

প্রথম আলো আবুল কাসেম ফজলুল হক প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:২২

শিক্ষাবিদ ও সমাজ-বিশ্লেষক আবুল কাসেম ফজলুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। সাহিত্যের পাশাপাশি রাজনীতি ও সমাজ তাঁর লেখা ও চিন্তার বিষয়। প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতির বর্তমান সংকট এবং ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি নিয়ে।


পরপর দুটি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর এবারের নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল অংশ নিচ্ছে না। বাংলাদেশের রাজনীতি কোন পথে চলেছে?


আবুল কাসেম ফজলুল হক: ২০১৪ আর ২০১৮—এই দুটি নির্বাচন নিয়েই কেবল প্রশ্ন ছিল এমন নয়। বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হয়েছে। জেনারেল এরশাদের সময় ১৯৮৮ সালে একটা ভোটারবিহীন নির্বাচন হয়েছিল। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অনেক দল সেই নির্বাচন বর্জন করেছিল। তারপরও নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করেছিল। সে সময় ঢাকার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরেফিরে দেখেছি, এরশাদের অনুগত গুটিকয় লোক ছাড়া, কেউ ভোট দিতে যায়নি। কাজেই নির্বাচন বর্জন করার ব্যাপারটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন নয়। আবার দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া সব কটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। 


বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনের সময় ছাত্রলীগ পরাজয় বুঝতে পেরে ট্রাকে করে ব্যালট বাক্স নিয়ে গিয়েছিল। ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পরাজিত প্রার্থীদের বিস্তর অভিযোগ ছিল। জিয়াউর রহমানের সময়ে নির্বাচনকে অর্থহীন ও হাস্যকর নির্বাচনে পরিণত করা হয়েছিল।


বাংলাদেশের রাজনীতির এই অবস্থার পেছনে দায়টা কার? এ থেকে বেরিয়ে আসার কোনো উপায় দেখেন কি?


আবুল কাসেম ফজলুল হক: বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যে ধারার রাজনীতি করছে, সেই ধারাই মূলত এর জন্য দায়ী। আগে দায়টা এককভাবে নিত, এখন দুই দলই কিছু সঙ্গী জুটিয়ে নিয়েছে। নির্বাচনের আগে জনসাধারণের মনভোলানো কিছু বক্তব্য দেওয়া ছাড়া বিএনপির এখন কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য নেই। একসময় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বক্তব্য ছিল, কিন্তু গত ১৫ বছরে তাদের একটানা শাসনামলে সেই রাজনৈতিক বক্তব্যের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটি সংগঠনগুলোও খুব ঝুঁকি নিয়ে অগ্রসর হয়নি। এসব কারণে বাংলাদেশের রাজনীতি ভুল পথে এগিয়েছে। অর্থাৎ দিন দিন বাংলাদেশের রাজনীতি গণতন্ত্রবিরোধী ক্ষমতার লড়াইয়ে পর্যবসিত হয়েছে। এখন যে ধারায় রাজনীতি চলছে, ভবিষ্যতে তাতে খুব ভালো কোনো সম্ভাবনা দেখি না।


রাজনীতি করার জন্য যে শিক্ষাদীক্ষা, চিন্তাভাবনা ও ক্ষমতায় যাওয়ার আগে কিছু প্রস্তুতি দরকার, সেটি আওয়ামী লীগ হোক, বিএনপি হোক, জাতীয় পার্টি হোক কিংবা বামপন্থী দল হোক—আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো সেটি বিশ্বাস করে না। কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই তারা সভায় বক্তব্য দেয়, বিবৃতি দেয়। 


বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো দল গঠনের দিকে একেবারেই মনোযোগ না দিয়ে নেতাদের ভাবমূর্তি তৈরির রাজনীতি করছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরিবারতন্ত্র। এ ধরনের রাজনীতি গণতন্ত্রসম্মত নয়। বাংলাদেশের রাজনীতি নষ্ট হতে হতে এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে সেখান থেকে স্বাভাবিক রাজনীতি বিকাশের সম্ভাবনা দেখি না।


দীর্ঘ সামরিক শাসনের পর আমরা ১৯৯১ সালে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে এলাম। একটি গণতান্ত্রিক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলো। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা গেল না কেন?


আবুল কাসেম ফজলুল হক: শীতল যুদ্ধ চলাকালে ষাট ও সত্তরের দশকে আমরা দেখেছি দুর্বল রাষ্ট্রগুলোতে সামরিক অভ্যুত্থান হতে। এসব সামরিক অভ্যুত্থানের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের মদদ থাকত এবং অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকারগুলোকে সমর্থন দিত। ১৯৮০–এর দশকের মাঝামাঝি এসে যুক্তরাষ্ট্র এই অবস্থান থেকে সরে আসে। ফলে বাংলাদেশেও নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তনের একটি অনিবার্যতা তৈরি হয়েছিল।


১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিদেশি অনেক রাষ্ট্র থেকে পর্যবেক্ষক এসেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছিলেন, যুক্তরাজ্য থেকে এসেছিলেন; ফ্রান্স, জার্মানি ও জাপান থেকে এসেছিলেন। এসব দেশ থেকে যেসব পর্যবেক্ষক ও প্রতিনিধিরা এসেছিলেন, তাঁরা নির্বাচন করতে সাহযোগিতা করেছিলেন। বাইরের শক্তি ছাড়া নির্বাচন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারত—সেটি বিশ্বাস করা কঠিন। পরের নির্বাচনগুলোর আগেও আমরা দেখেছি, জাতিসংঘসহ বাইরের শক্তিগুলো নানাভাবে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও