কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মজায় শুরু আত্মহত্যায় শেষ!

জাগো নিউজ ২৪ শাহানা হুদা রঞ্জনা প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৪৪

আমাদের চারপাশে অনেক মানুষ আছেন যারা মানুষকে অন্যায়ভাবে কষ্ট দেয়, বাজে কথা বলে ও ছোট করে দেখে। এ কাজেই যেন তাদের পরম আনন্দ। অনেক সময় হয়তো মজা করার জন্য বা দুষ্টুমি করেও এমনটা করেন, কিন্তু এই দুষ্টুমি বা ফাজলামিটা যখন বেশি হয়ে যায়, তখন সেটাই অন্যের জন্য কষ্টের এবং ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যারা এরকম আচরণ করেন, তারা আদতে একধরনের মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। এ সমস্যার কারণে এরা অন্যকে ছোট করে আনন্দ পান। এই যে মানুষকে মানসিকভাবে কষ্ট দেওয়া, শারীরিকভাবে হেনস্তা করা, ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে হয়রানি করা, এগুলোকেই বলা হয় বুলিং করা।


‘বুলিং’ বা ‘বুলি করা’ ইদানীংকালে খুবই পরিচিত একটি শব্দ। আমরা শুনছি, খবরে পড়ছি যে নানাভাবে বুলিংয়ের শিকার হয়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। শিশুদের ওপর বুলিংয়ের প্রভাব অনেক বেশি। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, কেউ যখন বুলিংয়ের শিকার হন তখন সেই পরিস্থিতির জন্য ব্যক্তি নিজেকেই দায়ী করেন। শিশুদের ক্ষেত্রে এই দায়ী করার প্রবণতা প্রায় শতভাগ। বুলিংয়ের শিকার হওয়ার জন্য তারা নিজেদের দোষী মনে করে, সংকুচিতবোধ করে ও লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করে।


যদি একটু ভেবে দেখি যে আমরা নিজেরাই অনেক সময় বুঝে না বুঝে অন্যকে কষ্ট দিয়ে ও আঘাত করে কথা বলি। কারও কোনো শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধিতা বা দুর্বলতা নিয়ে হাসাহাসি করা উচিত নয়। কিন্তু এরপরেও অনেকেই ভুলে যাই সেইসব উপদেশ ও নিষেধ। স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে, পাড়া-মহল্লায়, বন্ধু অথবা ভাইবোনদের প্রতি আমরাই বর্ণবাদী আচরণ করি, বডিশেমিং করি, আমাদের দ্বারাই ট্রলের শিকার হন অনেকে।


ট্রল করাটা এখন একটা বিনোদনের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। মানুষের মনে কষ্ট বা দুঃখ দেওয়ার জন্য আমরা সাধারণত যে শব্দগুলো ব্যবহার করি, সেগুলোই আসলে বুলিং। যেমন খুব সহজেই কাউকে বলি বাইট্টা, কালা, ভোটকা, লম্বু, টাকলা ইত্যাদি। এভাবে কাউকে সম্বোধন করলে সে কষ্ট পেতে পারে, তা আমরা কখনো ভেবেই দেখি না। অথচ নিজেকে সেই ভুক্তভোগীর জায়গায় রেখে চিন্তা করলে, বুঝবো বুলিংয়ের মাধ্যমে মানুষ কতটা মানসিকভাবে নির্যাতিত হয়। যখন বন্ধুরা বসে গল্প করে, তখন তারা কথা বলার সময় খুব একটা সচেতন থাকে না। ভেবেও দেখা হয় না যে কাকে কী বলছে অথবা এভাবে বলাটা উচিত হচ্ছে কি না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও