সমস্যাসংকুল পৃথিবীতে অসাম্যের বিরুদ্ধে লড়াই

বণিক বার্তা কৌশিক বসু প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২৪

বর্তমান সময়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির বাস্তবিক রূপ এমনই যেকোনো একটি সংকট যেন দ্রুতই অন্য আরেকটি নতুন সংকটে তলিয়ে যায়। একটি সমস্যার সুরাহা হওয়ার আগেই যেন আরেকটি নতুন সমস্যার উদ্ভব হয়। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি সবখানে শিরোনামগুলোয় প্রথমে স্থান পেত, কিন্তু ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার সাম্প্রতিক সহিংসতা সবকিছুকে ছাপিয়ে এখন একমাত্র নজরবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। 


আরো নিশ্চিত করে বলা চলে, আপৎকালীন সাড়াদানের ক্ষেত্রে সর্বশেষ সাম্প্রতিক সংকটের দিকে নজর দেয়াই মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। তবে সমাধানের জন্য মৌলিক কারণগুলো অনুধাবন করা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ যেন যেকোনো সংকট মোকাবেলায় আমাদের অপেক্ষাকৃত কম জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়। 


জনতুষ্টিবাদকে ব্যবহার করে সমর্থকদের মধ্যে মেরুকরণ ও বিশ্বজুড়ে গভীরতর সামাজিক বিভাজন—এ দুয়ের ফলে বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। এ পরিবর্তনের কারণ অনুসন্ধানে নিঃসন্দেহে কিছু সময়ের প্রয়োজন। প্রযুক্তির অগ্রগতি, ডিজিটালাইজেশন, অনিয়ন্ত্রিত বিশ্বায়ন, অসমতার ক্রমবর্ধিষ্ণুতা, আমাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটিয়েছে যা একই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থির করে তুলেছে। 


অর্থনৈতিক বৈষম্য বেড়েছে কিনা এ নিয়ে কয়েক দশক ধরে বিতর্ক চলছে, সুতরাং এক্ষেত্রে পুরো প্রশ্নটিই অমূলক। 


আমরা জানি যে ১৮২০ থেকে ১৯১০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বৈষম্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তখন থেকেই এ সূচক ওঠানামা করছে। যেকোনো গবেষণার প্রাক্কলন গবেষকদের ব্যবহৃত নির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং মেট্রিক্সের ওপর নির্ভর করে। গবেষণার তথ্য ও উপাত্ত থেকে এটা স্পষ্টত প্রতীয়মান যে অর্থনৈতিক বৈষম্য অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। ১৯৯৫ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বৈশ্বিক সম্পদ বৃদ্ধির ৩৮ শতাংশের মধ্যে সর্বোচ্চ ধনীরা লাভবান হয়েছে ১ শতাংশ, যেখানে তুলনামূলকভাবে দরিদ্রদের অর্জন ৫০ শতাংশে মাত্র ২ শতাংশ। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও