ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তিন দশক ধরে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে সতর্কঘণ্টা বাজিয়ে আসছেন। অজস্রবার তিনি ইরানে হামলার হুমকি দিয়েছেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে, জাতিসংঘের ভাষণে তিনি বলেছেন, তেহরানকে অবশ্যই ‘বাস্তব পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলা’ করতে হবে। পরে অবশ্য তাঁর দপ্তর সংশোধনী দিয়ে বলেছে, তিনি আসলে ‘বাস্তব সামরিক হুমকি’ বোঝাতে চেয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের পর নেতানিয়াহু হয়তো চূড়ান্তভাবে তাঁর হুমকি কার্যকরের সুযোগ পাবেন। হামাসের হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে অজুহাত জুগিয়েছে এবং ব্যাপক পাল্টা-হামলার পক্ষে আন্তর্জাতিক সহায়তার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
এর সঙ্গে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ জড়িত। দীর্ঘদিনের আঞ্চলিক সংঘাতের কারণে তাঁকে হয়তো হামাসের আক্রমণ ঠেকানোর ব্যর্থতার জবাবদিহি করতে হবে না; কিংবা এমন প্রচেষ্টা হয়তো আপাতত স্থগিত থাকবে। এমনকি দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে অভিযুক্ত করার একাধিক উদ্যোগও অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে যেতে পারে। নেতানিয়াহু যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন এবং গাজায় হামাসের শক্ত ঘাঁটিতে কঠোর পাল্টা আক্রমণের নির্দেশ দিয়েছেন। ‘ইসরায়েলকে রক্ষা করা’র জন্য যা প্রয়োজন, তা করার জন্য তিনি পশ্চিমাদের নিঃশর্ত সমর্থন পেয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন এক ধাপ এগিয়ে ইসরায়েলকে আরও অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে। বাইডেনের এই অতি উৎসাহের অর্থ এটা নিশ্চিত করা, ‘ইসরায়েলের কোনো শত্রু যাতে এ অবস্থা থেকে সুবিধা নিতে না পারে।’