সাত কলেজের আন্দোলন অযৌক্তিক

দেশ রূপান্তর প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০৯:২১

সাত কলেজ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, তা একেবারেই অযৌক্তিক। অযথাই আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। ছাত্রদের মুখ দিয়ে যা বলানো হচ্ছে বা ছাত্ররা যা বলছে, তার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। বিষয়টি একেবারেই অমূলক। এটি ব্যাখ্যা করলে, মনে হয় ভুল বোঝাবুঝি থাকবে না। এ বিষয়ে আমাদের মধ্যে যে ধরনের অস্পষ্টতা রয়েছে, তা দূর হবে।


সাত কলেজ আমাকে দেখার জন্য দিয়েছে। এর জন্য কিন্তু বাড়তি কোনো আর্থিক সুবিধা পাচ্ছি না। এখন বুঝতে হবে, একজন ছাত্র যদি ২-৩ বার ফেল করে, তাহলে আমাদের কী করার আছে? আমরা যদি কোনো সুযোগ না দিতাম, তাহলে একটা কথা ছিল। আমরা তো সুযোগ দিয়েছি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য, পাস করার জন্য। এখন তারা পাস করতে পারে না, এই দায়দায়িত্ব কি আমাদের? বিশ্ববিদ্যালয় তো এই দায়িত্ব নিতে পারে না। এরপরও আমরা একটি মিটিং ডেকেছি। সাত কলেজের প্রিন্সিপাল এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিন উপস্থিত থাকবেন সভায়। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে অবশ্যই একটি সমাধানে যেতে পারব। এখন ছাত্ররা যে বিষয় সামনে রেখে আন্দোলন করছে, তার কোনো যুক্তিই নেই। একটা যুক্তি থাকত, যদি পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ না থাকত। কিন্তু তা তো নয়। একজন ছাত্র ২ বার ফেল করার পর, নিয়ম নেই তাকে পাস করানোর। তারপরও করোনার সময়, তাদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে তৃতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার। সেখানেও অনেকে


অকৃতকার্য হয়েছে। এরপর আর কী করার থাকতে পারে? এখন অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরাই আন্দোলন করছে। তারা বলছে, আবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে। এটা কী করে হয়! কয়েকজন স্টুডেন্ট বলছে, ‘মানবিক কারণে’ তাদের উত্তীর্ণ করা হোক। এটা কি সম্ভব! বারবার এভাবে যদি সুযোগ দেওয়া চলতেই থাকে, তাহলে তো অন্য ছাত্ররাও এই সুযোগ চাইবে। তাহলে তো আরেক ছাত্রও পড়াশোনা করবে না। তখন কী হবে! শিক্ষক হিসেবে আমাদের কাজ যেমন ছাত্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকা, একই সঙ্গে বিশ^বিদ্যালয়ের আইনকানুনের প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের এভাবে ছেড়ে দিলে তো বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ হয়ে যাবে। এটা কিন্তু মনে রাখতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও